বিশ্বরেকর্ড টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ পেল ইতালি। তাদের সেই যাত্রা থামল স্পেন।
আসরটির ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ হবে বেলজিয়াম অথবা ফ্রান্সের মধ্যে যে কোনো একটি দল।
বুধবার দিবাগত রাতে ইতালির মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে মুখোমুখী হয় গত ইউরোর এই দুই সেমিফাইনালিস্ট। সেবার টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়েছিল ইতালি। এবার সেটিরই যেন প্রতিশোধ নিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। পুরো ম্যাচে একক আধিপত্য দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে তারা।
এটি উয়েফার সেকেন্ডারি টুর্নামেন্টে হলেও সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। বুধবার উয়েফা নেশন'স লিগের সেমিফাইনালে স্পেন ও ইতালি উভয় দলই তাদের সেরা তারকাদের নামায়। তবে স্পেন দলটি ছিল পুরো তারুণ্যনির্ভর।
এর মধ্যে অভিষিক্ত ১৭ বছর বয়সী গাভি মধ্যমাঠে নিজের জাত চিনিয়েছেন। স্পেনের ইতিহাসে জাতীয় দলে অভিষিক্ত হওয়া সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়ও বনে গেলেন বার্সেলোনার এই তরুণ। ক্লাবেও মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে অভিষেক হয় হয়। স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা ফেরান তরেস।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে মিকেল ওইয়ারসাবালের কাছ থেকে অস্বস্তিকর উচ্চতায় বল পেলেও ঠিকই জাল খুঁজে নেন তরেস।
তবে খেলার ৪২তম মিনিটে বড় একটি ধাক্কা খায় ইতালি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লেওনার্দো বোনুচ্চি। এক জন কম নিয়ে খেলা ইউরো চ্যাম্পিয়নরা আরও পিছিয়ে যায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। ওইয়ারসাবালের চমৎকার ক্রসে অরক্ষিত তরেস নিখুঁত হেডে খুঁজে নেন জাল।
১০ জনের দল নিয়েও অবশ্য দমে যায়নি ইতালি। প্রতিপক্ষের জালে বেশ কয়েকবার আক্রমণও চালায়। ৮২তম মিনিটে প্রতি আক্রমণে দারুণ এক গোলে ব্যবধানও কমায় ইতালি। স্পেনের কর্নার থেকে বল পেয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান চিয়েসা। স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের দুর্বল দুটি চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে পৌঁছে যান ডি-বক্সে। সিমোনকে এগিয়ে আসতে দেখে বল বাড়ান পেল্লেগ্রিনিকে। বাকিটা তিনি সারেন অনায়াসে।
তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২১
এমএমএস