ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলার ম্যাসন গ্রিনউডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তার বান্ধবী হারিয়েট রবসন। কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় জামিনে বেরিয়ে গেলেন ২০ বছর বয়সী গ্রিনউড।
গত রোববার রবসন ইনস্টাগ্রামে নিজের শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন। রক্ত ও ক্ষতের ছবি দেখিয়ে নিজের ওপর শারীরিক নির্যাতনের জন্য তিনি গ্রিনউডকে দায়ী করেন। একটি রক্তাক্ত ভিডিও আপলোড করে তিনি লেখেন, ‘এটি তাদের জন্য, যারা জানতে চায় ম্যাসন গ্রিনউড আসলে আমার সাথে কী করে। ’
শুধু শারীরিক নির্যাতন নয়, জানা গেছে, বান্ধবীকে খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন গ্রিনউড। এই ঘটনার পর সোমবার গ্রিনউডকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেট বৃটেনের পুলিশ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজতে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার দুপুরেই জামিন পেয়ে যান তিনি। তার আগেই খুনের হুমকির কথা সামনে আসায় নতুন করে ম্যাসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
জামিন পেলেও বৃটেন পুলিশের চোখ ফাকি দিতে পারবেন না তিনি। এ বিষয় নিয়ে আরও গভীর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুশীলনে যেতে নিষেধ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেতে পারবেন না তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ সুপারস্টার ধরা হয় গ্রিনউডকে। তার খেলার প্রশংসা শোনা গেছে স্বয়ং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মুখেও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ তুর্কির প্রতিভা নিয়ে কারোরই সন্দেহ নেই। কিন্তু পেশাদার ফুটবলে পা দেওয়ার পর থেকে মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যও বারবার শিরোনাম হচ্ছেন তিনি।
এবারের ঘটনায় গ্রিনউডের পাশে দাঁড়াননি তার ক্লাব সতীর্থরাও। এমনকি তাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আনফলো করে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, পল পগবার মতো ম্যানইউ তারকারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এমএইচএম