প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শনিবার ২-১ গোলে জয় পেয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ সামলে জয়ে ফিরল জুলফিকার মিন্টুর দল। তার অধীনে শেখ রাসেলের এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে লিগ শুরু করা স্বাধীনতা আটকে দিয়েছিল আবাহনীকেও। তাই এই ম্যাচে রাসেলকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে এমনটা ধারনা ছিল। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে স্বাধীনতাকে সুযোগই দেয়নি রাসেল। তৃতীয় ম্যাচে জয়ের পর সাত ম্যাচ পর আবারও জয়ে ফিরল ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ীরা।
শুরু থেকেই গোলমুখে আক্রমণ শানায় শেখ রাসেল। দ্বাদশ মিনিটেই এগিয়েও যায় তারা। রহমত মিয়ার কর্নারে মানিক মোল্লার ব্যাক হেড জাল খুঁজে নেয়। উল্লাসে ভাসে রাসেলের ডাগ আউট। ২০তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শেখ রাসেল। বক্সের মধ্যে মান্নাফ রাব্বিকে ফেলে দেন জয়নাল আবেদিন, বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি মিজানুর রহমান। ঠাণ্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন কীরগিজ ডিফেন্ডার আইজার আকমাতোভ। প্রথমার্ধের বাকি সময়ও দাপুট বজায় থাকে শেখ রাসেলের।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকেই ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল শেখ রাসেল। ৫০মিনিটে জুয়েল সহজ সুযোগ নষ্ট করেনহ। এরপর ৬৩তম মিনিটে স্বাধীনতার নদিরবেক মাভলোনভের দূর পাল্লার গতির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন আশরাফুল রানা।
৭৬তম মিনিটে ফ্রি-কিকে স্বাধীনতার নদিরবেক বল জালে জড়ালেও তা বাতিল করে দেন রেফারি। কারণ রেফারি মানব দেওয়াল ঠিক করে বাঁশি দেওয়ার আগেই শট নেন নদিরবেক। আবারও ফ্রি-কিক নেওয়ার সুযোগ পায় স্বাধীনতা। দ্বিতীয় দফায় নেওয়ার নদিরবেকের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
খেলার শেষ অর্ধে দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আইজার আকমাতোভ। এরপর যোগ করা চার মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিকে নদিরবেকের গোল করলে ব্যবধান কমায় স্বাধীনতা।
আগের দুই ম্যাচেই ড্র করা রাসেল এই ম্যাচ জিতে ১১ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার আটে উঠে এলো। সমান ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তলানিতেই থাকলো স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এমএইচএম