কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করে দল সাজিয়েছে পিএসজি। কিন্তু তাদের মূল লক্ষ্য তথা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার স্বপ্ন এবারও অধরা রয়ে গেছে।
গত গ্রীষ্মে পুরো ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়ে বার্সেলোনা ছাড়েন মেসি। চোখের জলে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি পাড়ি জমান পিএসজিতে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে ঘিরে প্যারিসিয়ানরা তাদের অধরা ইউরোপ সেরার মুকুট জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন মেসি এবার পূরণ করতে পারেননি। কিন্তু তাকে কিনে ব্যাপকভাবে আর্থিক লাভের মুখ দেখেছে পিএসজি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম 'এল একুইপে'র দাবি, লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা এবার ৭০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। ২০১১ সালে 'কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট' গ্রুপ ক্লাবটির মালিকানা কেনার পর এত বেশি আয় আর করেনি। এর মধ্যে মেসির সঙ্গে চুক্তি (বছরে ৫০ মিলিয়ন ইউরো) স্বাক্ষরের পর পিএসজির স্পন্সরশিপ থেকে আয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ। দুই স্পন্সর 'ক্রিপ্টো' এবং 'গরিলাস'-এর কাছ থেকে এবার বাড়তি ১০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে পিএসজি। এছাড়া বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আউ হবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি, যা ক্লাবের নতুন রেকর্ড।
মেসি পা রাখার পর পিএসজির জার্সি বিক্রি হয়েছে ১ মিলিয়নেরও বেশি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ-ই মেসির নাম ও নাম্বার সম্বলিত জার্সি। সবমিলিয়ে বিশ্বে জার্সি বিক্রিতে পিএসজির অবস্থান এখন দুইয়ে। একমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের চেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি করেছে। পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসের টিকিট বিক্রির হারও অনেক বেড়ে গেছে।
তবে একদিক থেকে পিএসজির আয়ে নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছে । রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাদের টেলিভিশন সম্প্রচার থেকে আয় কমে গেছে। গতবার সেমিফাইনালে খেলার কারণে তাদের এই খাত থেকে আয় দাঁড়িয়েছিল ২০০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু এবার সম্প্রচার থেকে তাদের আয় প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এমএইচএম