প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার স্মরণে বিশেষ প্লেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। পুরো আর্জেন্টিনা ঘুরে নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে গিয়ে যাত্রা শেষ হবে প্লেনটির।
'দ্য ট্যাঙ্গো ডিটেনএস' নামের ১২ সিটের প্লেনটিতে অর্থায়ন করেছে আর্জেন্টিনার একটি ফিনটেক (ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি) কোম্পানি। গত বুধবার প্লেনটির আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা প্লেনটি মূলত একটি 'উড়ন্ত জাদুঘর'।
২০২২ সালের নভেম্বরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের বিভিন্ন কীর্তি তুলে ধরতে বিভিন্ন আয়োজন থাকছে প্লেনটির ভেতরে। বিশেষ এই প্লেনের গায়ে ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমো খাওয়ার সেই বিখ্যাত ছবি আঁকা রয়েছে।
প্লেনটির দুই পাখায় ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে ম্যারাডোনার দুই গোলের মুহূর্ত আঁকা রয়েছে। বাঁ পাশের পাখায় সেই বিখ্যাত 'হ্যান্ড অব গড' এবং ডান পাশের পাখায় জয়সূচক সেই গোলটির ছবি, যে গোলটিকে বলা হয় সর্বকালের সেরা।
প্লেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'গিভ অ্যান্ড গেট'-এর প্রধান নির্বাহী গ্যাস্টন কোলকার একজন ম্যারাডোনা-ভক্ত। বিশেষ এই প্লেন নির্মাণের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'আমি ম্যারাডোনার ব্যাপারে পাগল। আমি সেই লোকদের মতো যারা এখনও প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে তার খেলার ভিডিও দেখে। ম্যারাডোনা ছাড়া এবারই প্রথম বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবং হয়তো লিওনেল মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ। আমি বলেছিলাম ম্যারাডোনার জন্য প্লেন বানাবো এবং এজন্যই আমরা প্লেনটি চালু করেছি। '
কোয়েলকার জানান, প্লেনটি দেখে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সতীর্থরা নাকি খুবই বিস্মিত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্লেনটি আপাতত আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে ঘুরবে। এরপর নভেম্বরে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারে গিয়ে শেষ হবে এর যাত্রা।
প্লেনটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো, ভক্তরা ভ্রমণের পাশাপাশি প্রয়াত ম্যারাডোনার উদ্দেশ্যে ককপিটে বার্তা দিতে পারবেন। শুধু কি তাই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ম্যারাডোনার সঙ্গে কথাও বলা যাবে! সেই সঙ্গে থাকছে ম্যারাডোনা ও তার বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের বিভিন্ন স্মারক প্রত্যক্ষ করার সুযোগ। প্লেনটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ভাড়া নেওয়া যাবে এবং বিশ্বকাপের পর এটি নিলামে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এমএইচএম