ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

দীর্ঘদিন পর মেয়েরা মাঠে ফেরায় আশাবাদী ছোটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
দীর্ঘদিন পর মেয়েরা মাঠে ফেরায় আশাবাদী ছোটন গোলাম রব্বানী ছোটন/ ছবি: বাংলানিউজ

মালয়েশিয়া জাতীয় নারী দলের বিপক্ষে ফিফা টায়ার-১ ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী ২৩ এবং ২৬ জুন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবেন আঁখি খাতুন-মারিয়া মান্ডারা।

পুরোদমে চলছে জাতীয় দলের অনুশীলন।  

জাতীয় দলের অনুশীলনের ফাকে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরকে নিজেদের প্রস্তুতি এবং প্রত্যাশার বিষয়ে জানালেন দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।

বাংলানিউজ: মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফিফা টায়ার-১ ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছন। এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে জাতীয় দলের প্রত্যাশা কি?

ছোটন: জুন মাসের ২৩ ও ২৬ তারিখ দুটি ফিফা টায়ার-১ ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচ আছে; মালয়েশিয়ার জাতীয় দলের বিপক্ষে। ম্যাচ দুটি সামনে রেখে আমাদের মেয়েরা কঠোর অনুশীলন করছে। আমাদের লক্ষ্য র‌্যাংকিংয়ে ভালো করা। গত বছর সেপ্টেম্বরে মেয়েরা উজবেকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলেছিল। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটি আমাদের র‌্যাংকিংয়েও কাজে দেবে এবং দীর্ঘদিন পর মেয়েরাও মাঠে ফিরবে- এটা অবশ্যই আমাদের ফুটবলের জন্য ভালো দিক। বাফুফে অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের। আগস্টে আমাদের সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে নেপালে। সেটার জন্য এ দুটি ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলানিউজ: অনুশীলনে মেয়েদের প্রস্তুতি নিয়ে কতটা আশাবাদী আপনি?

ছোটন: মেয়েরা কঠোর অনুশীলন করে। নিজেদের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে। মেয়েদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। যারা উন্নতি করতে না পারে তাদের বাদ দিয়ে নতুন ট্যালেন্ট খোঁজা হয়। টিম ট্রেনিংয়ের পর প্রত্যেককে নিয়ে আবার আলাদা আলাদাভাবেও ট্রেনিং করা হয়।

বাংলানিউজ: সাফ নিয়ে কি কাজ করছেন? বয়সভিত্তিক মেয়েরা সাফল্য পেলেও জাতীয় দল সেভাবে সাফল্য পায় না। এর কারণ কি?

ছোটন: আগে যে সাফগুলো আমরা খেলেছি সেখানে আমাদের মেয়েদের বয়স ছিল ১৮- এর নিচে। সাবিনা ছাড়া। আমাদের যে প্রতিপক্ষ ভারত-নেপাল, তাদের মেয়েদের বয়স ২৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। ৩৪-৩৫ বছর বয়সী মেয়েরাও ছিল। যারা বয়স্ক তাদের মেধা এবং শারীরিক গঠনের সঙ্গে যাদের বয়স কম তাদের পারফরম্যান্সের হেরফের হবেই। তবে ভালো দিক হচ্ছে তিন-চার বছর ধরে আমাদের মেয়েরা বয়সভিত্তিক প্রতিটি আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে এবং তারা সাফল্য এনেছে; তাদের বয়স এখন দুই-তিন বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে এবং তারা আগের চেয়ে অনেক পরিণত শারীরিক এবং মানসিকভাবে। টেকনিক্যালি এবং টেকটিক্যালিও।

বাংলানিউজ: কৃষ্ণাসহ আরো অনেক মেয়ে এখন জাতীয় দলের পাইপলাইনে আছেন। আগে কেবল সাবিনাই ছিলেন। এ দিকটা কিভাবে দেখছেন?

ছোটন: কৃষ্ণা, মৌসুমিরা ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে এবং ভালো ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছে। তারা অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও পরিণত হয়েছে। মাঠে হার্ড সেশনের পরও তারা জিমে গিয়ে শারীরিক কসরত করছে।

বাংলানিউজ: মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেছেন। জাতীয় দল নিয়ে আর কি কি ভাবনা আছে আপনার? যেহেতু সামনে সাফও আছে।

ছোটন: আমাদের দেশের মাটিতে খেলা। মেয়েরা কঠোর অনুশীলনের মধ্যে আছে। মাঠে এখন প্রতিফলন ঘটাতে চাই। ভালো খেলা উপহার দিতে চাই। বয়সভিত্তিক আমাদের মেয়েরা দর্শকদের যেমন তাদের খেলা দিয়ে মন ভরিয়েছে, তেমনি দেশকে ট্রফিও উপহার দিয়েছে। আমাদের মেয়েরা যেহেতু এখন পরিণত, সিলেটের মাটিতে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আমরা সেরাটা উপহার দিতে চাই। মালয়েশিয়া র‌্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তাদের দলটি বেশ ভালো। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলা, ভালো রেজাল্ট করাই লক্ষ্য।

বাংলানিউজ: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে বাফুফের কাছে কি কি পরিকল্পনা দিয়েছেন? মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ তো আছেই; এর বাইরে আর কি কি চেয়েছেন?

ছোটন: পরিকল্পনা একটা তো আছে। সামনে আরো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে। বাফুফের কাছে যখন যা চাচ্ছি সেটা তারা পূরণের চেষ্টা করছে।

বাংলােদশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।