ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের ঢুস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২২
কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের ঢুস

২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের তুমুল আলোচিত ঢুস ফুটবল ইতিহাসেই স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। প্রতি বছরই সেই ঘটনা নানাভাবে স্মরণ করা হয়।

এবার কাতার বিশ্বকাপেও দেখা মিলবে সেই ঢুসের। তবে বাস্তবে নয়, সেই ঢুসের একটি ভাস্কর্য থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য।  

ওই বিশ্বকাপে অবসর ভেঙে দলকে বিশ্বকাপে তুলেছিলেন জিদান। সেই দল উঠে গিয়েছিল ফাইনালে। ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর মেজাজ হারিয়ে মাতেরাজ্জিকে সেই ঢুস মারেন জিদান। অভিযোগ উঠেছিল, জিদানের বাবা-মা তুলে গালি দিয়েছিলেন মাতেরাজ্জি। ঢুস মারার ঘটনায় অখ্যাত মাতেরাজ্জি বিখ্যাত হয়ে উঠেন। জিদানকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। দলের সেরা তারকাকে হারিয়ে ফ্রান্সও আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।  

৭ বছর পর ২০১৩ সালে জিদানের সেই 'ঢুস' স্মরণীয় করে রাখতে আলজেরিয়ান বংশোদ্ভুত ফ্রেঞ্চ শিল্পী আদেল আবদেস সামাদ একটি ভাষ্কর্য তৈরি করেন। ১৫ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের তৈরি সেই ভাস্কর্য কিনে নিয়েছিল কাতার জাদুঘর। দোহায় সমুদ্রের পাশে সেই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর দেশটির রক্ষণশীল লোকজন এই ভাস্কর্যের বিরোধিতা শুরু করেন। জনগণের ক্ষোভের মুখে মাত্র তিন সপ্তাহ পর ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। সেই ভাস্কর্যই এবার কাতার জাদুঘরে পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। তবে উন্মুক্ত স্থানে নয়। কাতার জাদুঘরের ভেতরেই থাকবে জিদানের ঢুস মারার সেই ভাস্কর্য।

কাতারের কর্তৃপক্ষ মনে করছে যে, এত বছর পর দেশের জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। তাই ভাস্কর্যটি স্থাপিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাতার জাদুঘরের চেয়ারপারসন আল-মায়াসা আল থানি বলেন, 'সমাজ বিবর্তিত হয়। এটা হতে সময় লাগে। মানুষ হয়তো প্রথমে কোনো কিছুর সমালোচনা করে, কিন্তু এক সময় সেটা বুঝতে পারে এবং সেটা মেনে নেয়। জিদান কাতারের খুব ভালো বন্ধু এবং আরব বিশ্বের জন্য দারুণ এক আদর্শ। শিল্প হলো অন্য সবকিছুর মতোই রুচির ব্যাপার। '

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা,  জুন ০৭, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।