আজ সকালেই দেশে এসেছে বিশ্বকাপ ট্রফি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ বিমানবন্দর থেকে ট্রফিটি গেছে হোটেলে র্যাডিসন ব্লুতে।
বুধবার (৮ জুন) বিকেলে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে এবং ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করে। সেসময় ফুটবলের গৌরবোজ্জ্বল এই ট্রফিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি নিজেই।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান লালি কারেম্বু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, কোকা-কোলা কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সভাপতি শংকেত রায় ও রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতির সচিবগণ, ক্রীড়াসচিব ও উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৫৬টি দেশ ঘোরার পথে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকা-কোলার উদ্যোগে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় বাংলাদেশ পৌঁছায় ট্রফিটি। সঙ্গে ছিল ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু ও ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া আর কারও যেটি স্পর্শ করার অধিকার নেই, রাষ্ট্রপতিকে দেখাতে আজ বঙ্গভবনে আনা হয় সেই বিশ্বকাপ ট্রফিটি। রাষ্ট্রপতি সেসময় ফিফাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।
আবদুল হামিদ আশা করেন, বিশ্বকাপ ট্রফি আসার ফলে খেলোয়াড়, সংগঠক ও সমর্থকরা ফুটবলের প্রতি আরো বেশি উৎসাহিত হবে এবং বাংলাদেশের ফুটবল আগামীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো এগিয়ে যাবে।
এর আগেও ২০১৩ সালে যে ট্রফিটা বাংলাদেশে এসেছিল, সেটি ছিল আসল ট্রফির রেপ্লিকা। এবার এসেছে আসল ট্রফি। বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সফর শেষে আগামীকাল রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফিটি উড়াল দেবে পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
এআর/আরইউ