দলকে গুছিয়ে নিতে গ্রীষ্মকালীন দলবদলে বেশকিছু খেলোয়াড় কিনেছে পিএসজি। যার ফলে দলে আগে থেকেই বেঞ্চে থাকা অনেক খেলোয়াড়ের জায়গা আরও ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।
এদের মধ্যে কোনো খেলোয়াড় যদি নিজ থেকে ক্লাব ছাড়তে রাজি না হয়, তাহলে তাদেরকে ফ্রেঞ্চ লিগের পঞ্চম বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। যেখানে খেলে পিএসজির দ্বিতীয় দল। বিক্রি করতে না পারলে সেই খেলোয়াড়দের এই পঞ্চম বিভাগেই পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দিকে ইন্টার থেকে পিএসজিতে আনার পর তেমন কোনো সুফল পায়নি ক্লাব। তাই প্রথম থেকেই পিএসজির বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেছে তাকে। পারফর্ম করতে না পারায় গালতিয়ের তাকে বিবেচনায় রাখছেন না পিএসজির সামনের মৌসুমের জন্য। পাশাপাশি আরও ছয় খেলোয়াড়কে ক্লাব ছাড়তে চাপ দিচ্ছেন এই ফরাসি কোচ। তারা হলেন, আন্দের হেরেরা, লেভিন কুরজাওয়া, জুলিয়ান ড্রাক্সলার, রাফিনহা, থিলো কের, ইদ্রিজা গেয়।
দলবদলের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই এই সাত ফুটবলারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চায় পিএসজি। তাদের নতুন ক্লাব খুঁজতে বলেও দিয়েছে পিএসজি।
সাত ফুটবলারের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে নতুন ফুটবলারদের দলে ভেড়ানো শুরু করেছে ক্লাবটি। ইতোমধ্যে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া, ফরাসি স্ট্রাইকার হুগো একিতিকে দলে ভেড়ানো হয়েছে। রক্ষণভাগকে শক্তিশালী করতে লাইপজিগ থেকে ফরাসি রাইটব্যাক নর্দি মুকিয়েলেকে কিনেছে তারা।
জানা গেছে, দলবদলের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই আরও কিছু নতুন ফুটবলারকে দলে নিতে চায় ক্লাবটি। নতুন খেলোয়াড় কিনতে হলে আগে খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে তাদের। তাই ওই সাত ফুটবলারকে নতুন ক্লাব খুঁজে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তবে এই সাত খেলোয়াড়কে সব সুযোগ সুবিধা স্বাভাবিক সময়ের মতোই দিচ্ছে পিএসজি। এখনও মূল দলের সঙ্গেই অনুশীলন ও খাবার খাচ্ছেন ইকার্দি-হেরেরারা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে প্যারিসেই থাকতে হবে তাদের। সেক্ষেত্রে হয়তো পঞ্চম বিভাগেই চলে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এআর