বিশ্বকাপে সব দল থেকে সেরা দল ব্রাজিলের; এই কথাটি বলেছেন অনেক ফুটবল বিশ্লেষকই। সেলেসাওরা তার প্রমাণ মাঠেই দিচ্ছেন।
দুইটি ম্যাচেই ব্রাজিলের আক্রমণ ছিল অনবদ্য। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। প্রতিপক্ষ দল অবশ্য ব্রাজিল ভেবেই রক্ষণাত্মক খেলার কৌশলে চলেছে। তবে গোল ঠেকাতে পারেনি। দুই ম্যাচেই গোল পেয়েছে ব্রাজিল। জিতে নিয়েছে ম্যাচগুলো।
শুধুই কি আক্রমণে ব্রাজিল এগিয়ে! না, রক্ষণের দিক থেকেও তারা দুর্দান্ত। যদিও মাঠে নামার আগে বলা হচ্ছিল, বিশ্বের সেরা আক্রমণ নিয়ে কাতারে আসা ব্রাজিল রক্ষণ নিয়ে থাকতে হবে দুশ্চিন্তায়। কিন্তু যেখানে সেরাদের তালিকায় থাকা সিলভা-মার্কিনিয়োসরা আছেন সেখানে আক্রমণ করতে হলে থাকতে হয় তেমন যোগ্যতা। অপরদিকে আলেক্স সান্দ্রো-এদার মিলিতাও কি দুর্দান্ত খেলেছেন। প্রথম ম্যাচে থাকা দানিলোর অভাব দ্বিতীয় ম্যাচে বুঝতে দেননি রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার।
রক্ষণভাগের এমন দারুণ পারফরম্যান্সে একটি গোলও ঠেকাতে হয়নি বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের একজন আলিসন বেকারকে! দুই ম্যাচে নেওয়া সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের ১১টি শট হয়তো লক্ষ্যে যায়নি অথবা ডিফেন্ডাররা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ, গোলরক্ষক আলিসন বেকারই সময় কাটিয়েছেন কেবল। আর এই বেকার থাকতে থাকতেই নিশ্চিত করেছেন পরবর্তী পর্ব।
গ্রুপপর্বে অবশ্য আরেকটি ম্যাচ বাকি আছে ব্রাজিলের। ক্যামেরুনের বিপক্ষে সেই ম্যাচে কি তাহলে সেভ দেওয়ার মতো বল পাবেন আলিসন? খেলা মাঠে গড়ালেই তা জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
আরইউ