ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফ্রান্স

প্যারিস থেকে রহমান মাসুদ

বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ফ্রান্স

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ফ্রান্স ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্যারিস: ‘ফরাসীরা বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়। তারা জানে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে অগ্রসরমান মডারেট মুসলিম দেশ।

মুসলিম মেজরিটির মধ্যে থাকলেও আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতার আউটলুক নিয়ে থাকায় আমাদের গ্রহণযো্গ্যতা তাদের কাছে অন্য মুসলিম দেশের চেয়ে বেশি। এছাড়া শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে পেরেছি। এটাও ইউরোপিয়ানদের চোখে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্ত করেছে।

এই বক্তব্য ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলামের। ফ্রান্সে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গ্রহণ যোগ্যতা, দূতাবাসের কার্যক্রম, বাংলাদেশি কমিউনিটি, ব্যাবসা-বাণিজ্য, বাংলাদেশের সম্ভাবনা, সমস্যা, ফ্রান্সের ইমিগ্র্যান্ট পলিসিসহ নানা বিষয় নিয়ে প্যারিসের দূতাবাস কার্যালয়ে বাংলানিউজের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। পাঠকের জন্য তা বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

ব্যবসা বাণিজ্য
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তিন নাম্বারে আছে ফ্রান্স। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও এখন এই অবস্থান স্থীতির পর্যায়ে রয়েছে। উন্নতি হচ্ছে না। এর কারণ বাংলাদেশি পণ্যের বৈচিত্রের অভাব। পণ্যের কোয়ালিটি ও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গে পেরে না ওঠা। এছাড়া ইউরোপীয়ান অনেক দেশের আমদানির ভায়া ছিল ফ্রান্স। যেমন বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক ও অন্যান্য পূর্ব ইউরোপিয়ান দেশ ফ্রান্সের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। তারা জার্মানিকে ভায়া হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারপরও প্রতিবছর এখানে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমান ৮ ভাগ করে বাড়ছে।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের রপ্তানি কৌশলও এক্ষেত্রে ফ্রান্সে বাজার সৃষ্টিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেকেই মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করছেন। তবে সবক্ষেত্রে এই মধ্যস্বত্ত্বভোগীর ব্যবহার খারাপ না। আবার কেউ সরাসরিই পণ্য পাঠান। সেক্ষেত্রে ‘প্রাণ’ উল্লেখযোগ্য। আমার জানা মতে, তারা সরাসরি পণ্য পাঠিয়ে অনেক লাভবান হচ্ছে। কিন্তু ছোট উদ্যোক্তারা সরাসরি পণ্য পাঠাতে পারেন না। এর কারণ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাথমিক জ্ঞানের অভাব।

ফ্রান্সের বিভিন্ন বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। দূতাবাস সবসময়ই ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং পণ্যকে পরিচয় করিয়ে দেয়। এখানে যে পণ্য আছে স্বাভাবিক কারণেই ফরাসীরা সেই পণ্য বাংলাদেশ থেকে আনতে চায় না। তারা ধারণা করে, তাদের পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশি পণ্যের মান হয়তো খারাপ। মান নির্ণয়ের দিক থেকে কোয়ালিটির এই ঘাটতি আমদানির ক্ষেত্রে এরা গুরুত্ব দেয়।

তাছাড়া বাজার তৈরির ক্ষেত্রে কমিউনিটি একটি বড় ফ্যাক্টর। আমাদের কমিউনিটি এখনো ছোট। তবে তা দ্রুত বড় হচ্ছে। ফলে বাজারও বড় হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এখানে বছরে ১.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হচ্ছে। যার মধ্যে ৯০ ভাগই গার্মেন্টসপণ্য ও টেক্সটাইল। বাকি ১০ ভাগ বাইসাইকেল, চিংড়ি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও সামান্য ফল, সবজি ও গ্রোসারি আইটেম।

তবে একটা কথা না বললেই নয়, সমগ্র ইউরোপে কিন্তু বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনা দিনদিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। আমরা প্রতিদিনই ডজন ডজন ইউরোপীয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ভিসা দিচ্ছি। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশি পণ্যের ওপর তাদের আগ্রহ আমাদের আশাবাদী করে তুলছে।

২০১৩ সালে ফ্রান্স সরকার ঢাকায় তাদের বিজনেস অফিস খুলেছে। লাফার্জের বাংলাদেশের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। ফরাসী কোম্পানি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করছে। চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি কিন্তু ফ্রান্সেরই করা ছিল। ৩০ বছরের লাইফ গ্যারান্টির এই শোধনাগার কিন্তু এখনো চলছে। তাই নতুন রিফাইনারি বানানোর জন্য ফ্রান্সকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। পর্যটন ও সেবাখাতে ফরাসীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

ফ্রান্সে বাংলাদেশ
ফরাসীরা বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়। তারা জানে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে অগ্রসরমান মডারেট মুসলিম দেশ। মুসলিম মেজরিটির মধ্যে থাকলেও আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতা আউটলুক নিয়ে থাকায় আমাদের গ্রহণযো্গ্যতা তাদের কাছে অন্য মুসলিম দেশের চেয়ে বেশি। এছাড়া শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে পেরেছি। এটাও ইউরোপিয়ানদের চোখে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্ত করেছে।

ফ্রান্সে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে সব সময় দাবি করা হয়, তাদের সংখ্যা ৫০ হাজার বা তার বেশি। কিন্তু অফিশিয়ালি আমরা ফরাসীদের কাছে তা স্বীকার করিনি। কারণ ইউরোপের ইমিগ্রেশন পলিসি খুবই কঠিন। প্রকৃত সংখ্যা স্বীকার করলে নতুন বাংলাদেশিদের এখানে আসা কঠিন হবে। আমাদের দূতাবাস থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪০০ জন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়েছে, আরো কিছু অপেক্ষায় আছে, আমরা কেবল তাদের কথাই বলি। তাছাড়া যারা ফরাসী নাগরিকত্ব নিয়েছেন তারা আমাদের নারিক হলেও তাদের কথা আমরা বলি না।

দূতাবাসের কাছে প্রকৃত কোন সংখ্যা জানা নেই। সবার উচিত এখানে এসে নাম নিবন্ধন করা। কিন্তু ‍কেউই তা করে না। এদেশে থাকা কোন বাংলাদেশিকেই আমরা দূতাবাসের পক্ষ থেকে অবৈধ বলি না। ফরাসী সরকারের পক্ষ থেকে যখন এমন দাবি করা হয়, তখন আমরা বলি, কেউই অবৈধ নয়, তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাদের কিছু পেপারস প্রোব্লেম আছে। সহসাই সেই ঘাটতি পূরণ হবে। তবে এখানে বসবাসরত বেশির ভাগেরই কাগজ আছে। আমরা ফরাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব সময়ই বলার চেষ্টা করি, সবাই কাগজ তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে।

তাছাড়া ফ্রান্সে বাংলাদেশি কমিউনিটির সুনাম আছে। তারা আরব বা আফ্রিকান কমিউনিটির চেয়ে অনেক বেশি সৎ, কর্মঠ ও শান্তি প্রিয়। মুসলিম হলেও তারা জঙ্গিবাদ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে কখনো জড়িত নয়, এটা ফরাসী সরকার ও জনগণ বিশ্বাস করে। ফলে কাজের লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেও এখানে বাংলাদেশিরা আরব ও আফ্রিকানদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। এছাড়া আমাদের লোকেরা আরব ও আফ্রিকানদের মতো অর্গানাইজড ক্রাইম এবং ড্রাগ থেকে দূরে থাকায় তাদের সুনাম অক্ষুন্ন আছে। এ কারণে ফ্রান্স অন্যান্য মুসলিমদের চেয়ে একটু ভিন্ন চোখেই দেখে বাংলাদেশিদের। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অন্যান্য দেশ যখন বাংলাদেশ থেকে সরে আসার পাঁয়তারা করছিল, তখনই কিন্তু ফ্রান্স সবার আগে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। প্যারিসে বাংলাদেশি কমিউনিটির চারটি মসজিদ  আছে। আমরা দূতাবাসের পক্ষ থেকে মসজিদগুলোতে যাই। জঙ্গিবাদ ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তাদের সতর্ক করি। বাচ্চাদের দিকে সতর্ক নজরদারির কথা বলি।

বাংলাদেশ সম্পর্কে ফ্রান্সের অবস্থান কতোটা জোরালো তা বোঝা যায়, জলবায়ু সম্মেলনের আগে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্স ফ্যাবিয়াসের নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশ সফরকে। একই সঙ্গে বলতে হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাতিল হওয়া প্যারিস সফরের উদ্যোগ কিন্তু ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকেই নেওয়া হয়েছিল। যদিও ১৩ নভেম্বরের বাতাক্লুয়্যু হামলার পর তা বাতিল হয়।

ফ্রান্সে বাংলাদেশি কমিউনিটি এখন সেকেন্ড জেনারেশনে প্রবেশ করেছে। ৮০’র দশকে যে জেনারেশন এখানে এসেছিল এখন তাদের ছেলে-মেয়েরা বড় হয়েছে। এই জেনারেশনকে তাদের বাবা-মায়ের মতো টিকে থাকার লড়াই করতে হয়নি। এখানকার আইনই হলো বাচ্চার বয়স তিন বছর হলে তাকে স্কুলে দেওযা বাধ্যতামূলক। তাতে সে বৈধ, অবৈধ বা শরণার্থী যাই হোক না কেনো। এই জেনারেশন অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভাষার অদক্ষতা এবং সাধারণ জ্ঞানের অভাবে হয়তো উচ্চ শিক্ষিত হতে পারেনি, তবে স্কিল্ড ওয়ার্কার হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন কাজে তারা ভালো ডিপ্লোমাধারী হওয়ায় এবং ফরাসী ভাষায় দক্ষ হওয়ায় ভালো করছে। আবার সচেতন বাবা-মায়ের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বড় বড় সংস্থায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। অনেকেই চিকিৎসা, প্রকৌশলি, তথ্য  প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, বিমান ও পর্যটনে সুনাম ‍কুড়াচ্ছেন।

বাংলাদেশি কমিউনিটিরও এখানে নানা স্তর আছে। এর কিছু প্রত্যক্ষ, কিছু পরোক্ষ। কেউ আছেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত, কেউ আছেন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। কেউ আছেন তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে। যারা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন, তারা সব কিছু থেকে দূরে থাকেন। যতো দিন যাচ্ছে এই কমিউনিটির ওপর আমাদের শ্রদ্ধা বাড়ছে। আমাদের কমিউনিটি খুবই দক্ষ। এরা অনেকেই এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক সুনাম কুড়িয়েছেন।

ফ্রান্সের ইমিগ্র্যান্ট পলিসি
এখানকার ইমিগ্র্যান্ট পলিসি কিছুটা জটিল। আমেরিকা বা কানাডার মতো এখানকার পলিসি অতোটা সহজ ও উদার নয়। ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সের বাংলাদেশি কমিউনিটির আকার ছোট। এটা যদিও দ্রুত বাড়ছে। তবে এদের ইমিগ্র্যান্ট পলিসিকে ডিঙ্গিয়ে যুক্তরাজ্য বা ইটালীর পর্যায়ে যেতে সময় লাগবে।

ইমিগ্র্যান্টের ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিটি আশা পূরণ করতে পারছে না। অনেকেই ফরাসী মূল স্রোতেও মিশতে পারছে না। এর মূল সমস্যা হলো ভাষা। এদের ভাষাটি অন্য ভাষা থেকে বেশ জটিল ও কঠিন। এছাড়া ফরাসীরা বেশ রক্ষণশীল। এরা জানে এটা তাদের দেশ। আর সবাই অভিবাসী। এরা হয়তো উপরে উপরে সবার সঙ্গে ভদ্রভাব দেখায়, কিন্তু অতো সহজে সবাইকে গ্রহণ করে না। এর সঙ্গে কালচার, রিলিজিয়ন, ড্রেসকোড ও এথনিক সোর্সের বিষয়গুলো জড়িত।

বড় ক্যানভাসে দেখলে বলতে হয়, ইউরোপীয়ানরা তাদের প্রয়োজনেই আমাদের আশ্রয় দিচ্ছে। আসলে আমাদের নয়, আমাদের কাজকেই তারা প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু কর্মী আমদানি করতে চায় না। তাদের জাতিগত স্বকীয়তার বিষয়ে তারা খুবই সচেতন।

এখানে থাকা প্রবাসীরা দেশে প্রচুর টাকা পাঠায়। তারা অন্তপ্রাণ দেশ প্রেমিক, তাদের টাকায় দেশের অর্থনীতি বেগবান হচ্ছে। এখানে এরা অমানুষিক পরিশ্রম করেন। এরা স্ব-উদ্যোগে জীবন বাজি রেখে দেশের বেকার সমস্যার সমাধন করছেন। ইউরোপে প্রাতিষ্ঠানিক মাইগ্রেশনের সুযোগ কম থাকায় তারা নানা ঝুঁকির মধ্যে এখানে আসছেন। এখানে এসে সবাই মাইগ্রেশনের জন্য নানা গল্প তৈরি করছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। লিগ্যাল মাইগ্রেশন চালু হলে এই অবস্থার উন্নতি হবে।

আমি দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফরাসী সরকারকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, মাইগ্রেশন অপরাধ নয়। সভ্যতার আগে থেকেই এটা ছিল। কেবল মানব পাচারই অপরাধ। এ বিষয়ে আমরা সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
আরএম/জেডএম

** প্যারিসে বাংলাদেশ
** আমাদের কথা কেউ বলে না!
** ট্যাক্সি চালক থেকে মেয়র প্রার্থী
** হাঁটা পথে ইউরোপে
** প্যালেস ডি সালভাদর দালি
** প্যা‌রিসে ম‌লিন আবহে বড়‌দিন
** গির্জাভিত্তিক পর্যটন
** এনভার্সে জাকিরের দেখা
** বাস্তিল ঘিরে পর্যটন
** প্যারিসের গণতন্ত্র ময়দান
** বাতাক্লঁয়ে প্রতিদিনই আসছে মানুষ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।