ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশেই এখন বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে: ডা. এনামুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
দেশেই এখন বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে: ডা. এনামুর

ঢাকা: বর্তমানে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৭ম বাতব্যাথা রোগীদের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা পাকিস্তান আমলে জন্মগ্রহণ করেছি তারা দেখেছি, কী বিধ্বস্ত ছিল পূর্ব পাকিস্তান। মানুষের জীবন যাপনের মান কতটা কষ্টের ছিল। চিকিৎসার মান, শিক্ষা, খাদ্য বস্ত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থার অবস্থা কতটা নিম্নমানের ছিল। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ভাগ্যবান বঙ্গবন্ধুর পরে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি টানা তিনবার সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে রোলমডেল করেছেন। সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

 প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সব ধরনের চিকিৎসা গ্রামের গরিব মানুষ পাচ্ছেন। জেলা হাসপাতালগুলোকে ৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা,  ২৫০ শয্যারগুলোকে  ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। নতুন প্রায় ৩৩টি সরকারি  এবং ৭৩টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা শহরে ১০টি স্পেশালাইজড হাসপাতাল করা হয়েছে। এসব স্থানে অত্যন্ত উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। আজকে বাংলাদেশের মানুষ দেশেই সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। এ সব কিছুর পেছনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, আমি প্রায় ৪৫ বছর যাবত চিকিৎসা পেশায় যুক্ত। আমি দেখেছি রিউমাটোলজি ডিজিসগুলোতে শুধুমাত্র ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে দিন কাটিয়েছে এবং নানা ধরনের জটিলতায় ভুগেছে। কারো পেপটিক আলসার হয়েছে, কারো রেনাল ফেইলিওর হয়েছে। কিন্তু রোগ থেকে মুক্তি পায়নি। রিউমাটোনোলজি বিভাগ ডেভেলপের কারণে এবং ডাক্তার নজরুল ইসলামের মতো নেতৃত্ব এগিয়ে আসায় আজকে মানুষ সচেতন হয়েছে, মানুষ সিমটোমেটিক চিকিৎসার চেয়ে স্থায়ীভাবে সেরে ওঠার চিকিৎসা নিচ্ছে। যেটাকে আমরা ডিজিজ মডিফাইড ট্রিটমেন্ট বলি। ফলে স্থায়ীভাবে এই অসুখগুলো সেরে যাচ্ছে, পাশাপাশি রোগীর কার্যক্ষমতাও ঠিক থাকছে। আমাদের রিউমাটোলজি চিকিৎসকের দ্বারা সমাজে এই চিকিৎসার প্রসার ঘটছে।

প্রফেসর নজরুল ইসলাম রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, ব্রাকের হেলথ এন্টারপ্রাইজের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।