ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আইসিডিডিআর,বি’র উদ্ভাবন মানুষের জীবন বাঁচায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
আইসিডিডিআর,বি’র উদ্ভাবন মানুষের জীবন বাঁচায়

ঢাকা: আইসিডিডিআর,বি’র উদ্ভাবন মানুষের জীবন বাঁচায় বলে উল্লেখ করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী হারজিত এস সজ্জন।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী হারজিৎ এস সজ্জন আইসিডিডিআর,বি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এ কথা বলেন।

  

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন।  

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাসকারী প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য সমস্যার উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী সমাধান প্রত্যক্ষ করার উদ্দেশ্যে মন্ত্রী এই সফর করেন।

আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ এবং প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানায় । ড. তাহমিদ আহমেদ তাকে আইসিডিডিআর,বি-র কাজের বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন যা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে ।

হারজিৎ এস সজ্জন আইসিডিডিআর,বি-র ঢাকা হাসপাতালে কিছু সময় কাটান, যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বল্প খরচের বিভিন্ন উদ্ভাবন, গুরুতর নিউমোনিয়া এবং হাইপোক্সেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বাবল সিপিএপি এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায় পরিচালিত একটি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কিত কাউন্সেলিং সেবা উদ্দীপ্ত সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের উপর আইসিডিডিআর,বি-র বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে অবহিত হন এবং কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।  

হারজিৎ এস সজ্জন আইসিডিডিআর,বি-র জীবন রক্ষাকারী গবেষণা এবং উদ্ভাবন দেখে মুগ্ধ হয়ে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটিকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি আইসিডিডিআর,বিতে যা দেখেছি তাতে আমি খুবই মুগ্ধ। এখানে যে উদ্ভাবনগুলো হচ্ছে তা মানুষের জীবন বাঁচায়। যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে তা হলো, এখানকার বিজ্ঞানী ও কর্মীরা কানাডার বিনিয়োগকে ব্যবহার করে জটিল চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সহজ সমাধান বের করছেন যা পৃথিবীর সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জায়গায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, আমি সমানভাবে মুগ্ধ যে তারা এখানে যে জ্ঞান অর্জন করছে তা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে।

ড. তাহমিদ আহমেদ আইসিডিডিআর,বি-র কাজের বিষয়ে জানার আগ্রহের জন্য হারজিৎ এস সজ্জনের প্রশংসা করে বলেন, বিগত পঁয়তাল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কানাডা আমাদের অব্যাহতভাবে সহায়তা করে আসছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই সহায়তার ফলেই, আমরা ধারাবাহিক ভাবে আমাদের গবেষণা করতে সক্ষম হয়েছি, যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে কাজ করে আমরা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি, যা কানাডাসহ আমাদের অন্যান্য দাতাদের দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার ফলে সম্ভব হয়েছে।

হাইকমিশনার লিলি নিকোলস আইসিডিডিআর,বি-র গবেষণা এবং উদ্ভাবনের প্রশংসা করে বলেন, আইসিডিডিআর,বি এখানে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে তা লাখ লাখ জীবন বাঁচাচ্ছে। আমরা খাবার স্যালাইন, ডায়রিয়ার চিকিৎসায় জিঙ্কের ব্যবহার, ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন এবং বার্থিং ম্যাটের মতো অনন্য উদ্ভাবন দেখেছি। এগুলো সহজ, কার্যকরী, সাশ্রয়ী এবং বাংলাদেশে তৈরি। কিন্তু এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সত্যিই অসাধারণ প্রভাব ফেলে। আমরা এই বিশ্বখ্যাত উদ্ভাবনগুলো দেখে খুবই আনন্দিত এবং আমরা গর্বিত যে কানাডাও আইসিডিডিআর,বি-র সঙ্গে রয়েছে।

গবেষণা ছাড়াও, কানাডার সহায়তায় আইসিডিডিআর,বি ঢাকা এবং চাঁদপুরের মতলব হাসপাতালে বছরে দুই লাখেরও বেশি রোগীকে বিনামূল্যে ডায়রিয়া এবং অপুষ্টির চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করে ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
আরকেআর/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।