ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভ্যাকসিন সংকট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইপিআই টিকা কার্যক্রম ব্যাহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
ভ্যাকসিন সংকট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইপিআই টিকা কার্যক্রম ব্যাহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার টিকা কেন্দ্রগুলোয় শিশুদের জন্মের পর ধাপে ধাপে দেওয়া টিকা দান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা গত এক মাস যাবত কোথাও নেই। ফলে প্রতিদিনই অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে এসে পুনরায় ফিরে যাচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিশু ৬ সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে ২য় ডোজ দিতে হয়। একই সময়ে পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার ১ম ডোজ দিতে হয়। তারপর কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ/২৮ দিনের ব্যবধানে এ সকল টিকার ২য় এবং ৩য় ডোজ দিতে হয়। শিশুর ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই শিশুকে ১ম ডোজ এবং ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলেই ২য় ডোজ এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা দিতে হয়।

কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গত একমাস যাবত বিসিজি ও ওটিভি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুদ নেই। জেলার ইপিআই স্টোরে গত একমাস যাবত পেন্টা (ডিপিটি, হেপ-বি, হিব), ওপিভি, পিসিভি, আইপিভি ও এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা মজুদ নেই। ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকা গুলো দেওয়া যাচ্ছে না।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তর থেকে শিশু তার মা-বাবারা হাসপাতালে আসলেও টিকা দিতে পারছে না। টিকার যে সংকট রয়েছে সে বিষয়ে তারা জানেন না। প্রথম ধাপের টিকা পেলেও ২য় ধাপ থেকে টিকাগুলো দিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  

টিকা দিতে আসা সাইফুল ইসলাম নামে এক শিশুর বাবা বলেন, আমার মেয়ের প্রথম ধাপের টিকা দিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের জন্য গত শনিবার এসেও ফিরে গিয়েছি, আবার আজকে এসেও পাইনি। এখন সঠিক সময়ে যদি না দিতে পারি তাহলে কি হবে এ নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছি।

মরিয়ম বেগম নামের অপর আরেক শিশুর মা বলেন, শুধু আমি নই অনেকই টিকা দিতে না পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।

জেলার ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একবছরে ৯১ হাজার শিশুকে প্রতিটি টিকা দিয়ে থাকি। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি টিকা কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১০টি টিকার মধ্যে কেবল দুটি টিকা মজুদ রয়েছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সরবরাহ হলে টিকা কার্যক্রম আবারো স্বাভাবিক হবে।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, আমরা টিকার জন্যে আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে। তবে টিকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তা শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোনো বিরুপ প্রভাব পড়বে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।