ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ

বসুন্ধরা আই হসপিটালে ২৫ শতাংশ ছাড়, ফ্রি স্ক্রিনিং

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
বসুন্ধরা আই হসপিটালে ২৫ শতাংশ ছাড়, ফ্রি স্ক্রিনিং

ঢাকা: প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত গ্লুকোমা রোগীদের ফ্রি চোখ স্ক্রিনিং করা হবে এবং গ্লুকোমা পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।

রোববার (১২ মার্চ) সকাল ৯টায় এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ‌'আপনার দৃষ্টি রক্ষা করুন, সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করুন' স্লোগানকে সামনে রেখে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে এ র‍্যালি শুরু হয়। পরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে হাসপাতালের সামনে এসে র‍্যালিটি শেষ হয়।

এ সময় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এস এম মনোয়ারুল ইসলাম, ডা. মৌটুসি ইসলাম, ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি, ডা. রুবিনা আক্তার, ডা. জারিন পারভিন ও ডা. তাসরুবা শাহনাজসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গ্লুকোমা রোগীদের ফ্রি চোখ স্ক্রিনিং করা হবে। অর্থাৎ, রোগীর চোখে গ্লুকোমা আছে কিনা সেটি যাচাই করা হবে। পরীক্ষার পর যদি গ্লুকোমা থাকে, তাহলে তাদের চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী তারা চিকিৎসা করবেন। পাশাপাশি এই এক সপ্তাহ গ্লুকোমা পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এস এম মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গ্লুকোমা হচ্ছে এমন একটি রোগ, যেটির কোনো লক্ষণ নেই। এ রোগে আক্রান্ত রোগী কোনো ব্যথা অনুভব করেন না। এ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চোখের যে দৃষ্টি শক্তি কমে যাচ্ছে, সেটিও রোগী বুঝতে পারেন না। যার কারণে, রোগীরা চিকিৎসকদের কাছে যান না। রোগীরা যখন চোখের অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে আসেন, তখনই স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ছয় লাখ গ্লুকোমা রোগী রয়েছে। সারা পৃথিবীতে এমন রোগী আছে প্রায় আট কোটি। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ। সেই হিসেবে বাংলাদেশে গ্লুকোমা রোগী আরও বেশি হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, মানুষের দৃষ্টি নষ্ট হওয়ার যেসব কারণ রয়েছে, তার মধ্যে গ্লুকোমা অন্যতম। এটাকে নীরব ঘাতকও বলা যায়। আমাদের দেশে গ্লুকোমা স্পেশালিস্ট ১০০ জনেরও কম রয়েছে। সেই কারণে আমাদের মতো সেন্টারগুলো যদি নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার কর্মসূচি গ্রহণ করে, তাহলে গ্লুকোমা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে। গ্লুকোমা রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো সচেতনতা। চোখ পরীক্ষা করা ছাড়া এ রোগ শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, মানুষকে দৃষ্টি শক্তিহীন করতে গ্লুকোমা একটি প্রধান কারণ। তাই গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।