ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৭৫ দেশ শেখ হাসিনার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ গ্রহণ করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
৭৫ দেশ শেখ হাসিনার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ গ্রহণ করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: জাতিসংঘের ৭৫টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিককে সরাসরি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক: দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রস্তাবনার সাথে জাতিসংঘের ৭৫টি দেশ যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ ৭৫টি দেশ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রস্তাবনাকে সরাসরি গ্রহণ করেছে। তারা বলেছে, যদি সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিতে হয়, তাহলে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাদানের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক অনুকরণ করার জন্য, পাশাপাশি গ্রহণ করার জন্য ৭৫টি দেশ একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, এমডিজি অর্জনে প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা এমডিজি অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ভ্যাকসিন কার্যক্রম, করোনা টিকাদান সেখানেও কমিউনিটি ক্লিনিকের বিরাট ভূমিকা ছিল। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এশিয়ায় আমরা প্রথম এবং বিশ্বের পঞ্চম হয়েছি, সেখানেও কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদান রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক শুধু একটি উদ্যোগ নয়, কমিটি ক্লিনিক অনেকগুলো উদ্যোগের একসাথে সমন্বয়। বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছ থেকে যতগুলো পুরস্কার পেয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য। তার মধ্যে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্যোগ। ১৪ হাজারের বেশি ক্লিনিক আছে বাংলাদেশ। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয় কমিউনিটি ক্লিনিকে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছে। প্রতিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন সেবা নেয়। প্রতিদিন সারা বাংলাদেশে গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকে। মাসে দেড় কোটি এবং বছরে প্রায় ১৮ লাখ কোটি মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেব নেয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি চিকিৎসক এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভুইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।