ঢাকা: দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। একইসঙ্গে দেশে এডিস মশা নিধনে ঘাটতি রয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ডেঙ্গু বাড়তির দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও সারাদেশে ২০০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকায়। গত দুইদিনে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। হাসপাতাল ও চিকিৎসক-নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া উভয়ই মশাবাহিত রোগ। এই রোগ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
মশা নিধনে ঘাটতির কথা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এডিস মশা নিধনে ঘাটতি রয়ে গেছে। আমরা নিয়মিত সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছি। তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের গবেষণা টিম কাজ করছে। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সিটি করপোরেশনকে দিচ্ছি। আমি আশা করব সিটি করপোরেশন তার চেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখবে না। আমরা জানতে পেরেছি, নতুন ওষুধ আনা হয়েছে। সেটি ভালো ও কার্যকর কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ম্যালেরিয়ায় এক সময় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ম্যালেরিয়া মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা নোংরা পানিতে জন্মায়। একটি মশা মাসখানেক বেঁচে থাকে এবং অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এরা জীবনকালে অসংখ্য মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।
ম্যালেরিয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। এ বছর এক হাজার ৪২৫ জন রোগী পাওয়া গেছে, কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এর কারণ মশা কমেছে। পাশাপাশি সরকার ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসায় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি দুর্গম এলাকায়ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে তিনটি পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে। সেখানে এখনো আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিচ্ছি।
মশার জন্য তো কোনো বর্ডার নেই। তবে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মানুষ যেন বর্ডার পার করে আসতে না পারে, তাদের যেন পরীক্ষা করা হয়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আরকেআর/আরএইচ