ফেনী: বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির (বাডাস) মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে দেশে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। আবার ২৬ ভাগ মানুষ জানেই না যে তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
অনেক শিশুর জন্মের পরপরই ডায়াবেটিস শনাক্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানুষের হাত-পা ও শারীরিক মুভমেন্ট কম হওয়া এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে দিনদিন ডায়াবেটিস আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে টাইপ-১ কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক শিশুর জন্মের পরপরই ডায়াবেটিস শনাক্ত হচ্ছে। যাকে আমরা টাইপ-১ বলে থাকি। যে পরিবারে একজন মানুষ টাইপ-১ এ আক্রান্ত, সেই পরিবারের লোকজন জানেন, এর বিড়ম্বনা কতো বেশি। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন মতো হাঁটাচলা ও নিয়ম মতো খাবার গ্রহণে সবাইকে অভ্যস্ত হতে হবে।
ফেনী ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি আ ক ম শাহেদ রেজা শিমুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বারডেম হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান, বারডেম অ্যান্ড নভো-নরডিস্ক বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজার রাজর্ষী দে সরকার।
ফেনী ডায়াবেটিস সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়াবেটিস-২ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দেশে পর্যাপ্ত হাসপাতাল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও টাইপ-১ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা অপ্রতুল। দেশজুড়ে জেলা পর্যায়ে উদ্বোধন হওয়া ৭তম এ কর্ণারে এখন থেকে ফেনী ও আশপাশের এলাকার আক্রান্তরা এ রোগের চিকিৎসা পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এসএইচডি/এনএস