ভোলা: ভোলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। গত এক সপ্তাহে এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৪০ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আগত রোগীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও এখন স্থানীয়ভাবেই এ রোগের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূলীয় জেলা ভোলায় বিগত সময়ে ডেঙ্গুর বিস্তার মহামারি না হলেও জুলাই মাসে অতীতের আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ৮ দিনেই আক্রান্ত ৩৭ জন। বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে আলাদা দুটি ইউনিট খোলা হলেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাউকে মেঝেতেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
রোগের প্রকোপ বাড়তির দিকে থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রোগীর স্বজনরা। এদিকে প্রতিদিন গড়ে ৫- থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যরা সংক্রমণের ভয়ে আতঙ্কিত হচ্ছে। তবে ডাক্তার ও নার্সরা প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছেন।
এদিকে ভোলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। হঠাৎ কেন স্থানীয়ভাবেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তা নিরুপণে গবেষণা করছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।
এ ব্যাপারে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সিবলি সাদিক আল ইসলাম বলেন, রোগীর চাপ কিছুটা বাড়তির দিকে থাকলেও আমরা সেবা দিচ্ছি। তবে স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের হার বাড়ায় বিষয়টি নিয়ে আমরাও কিছুটা চিন্তিত। কারণ, আগে দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগী।
ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।
উল্লেখ্য, ভোলায় গত তিন মাসে মাত্র তিনজনের ডেঙ্গু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত এক মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অর্ধশতাধিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
আরএ