ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজবাড়ীতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, নেই আইসিইউ সাপোর্ট

কাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
রাজবাড়ীতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, নেই আইসিইউ সাপোর্ট

রাজবাড়ী: পদ্মা পাড়ের জেলা রাজবাড়ীতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন ও জন প্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।

তবে জেলা সদর হাসপাতালে নেই কোনো আইসিইউ সাপোর্ট।

রাজবাড়ীর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে রাজবাড়ী জেলায় ২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ১৬ জন, পাংশা উপজেলায় ২জন, বালিয়াকান্দিতে ১জন, কালুখালীতে ৩জন ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪ জন। বাড়িতে থেকেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও জেলার ৫ উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।

সদর হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত গোবিন্দ কুমার সাহা (৪৫) বলেন, কদিন আগে জ্বর হলে নাপা খাই। পরে জ্বর আরও বেড়ে যায়। পরদিন সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। গত শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হলেও আমার অবস্থার উন্নতি হয়নি। রক্তের প্লাটিলেট কমে এখন এক লাখের নিচে নেমে এসেছে। চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যাওয়ার চিন্তা করছি।  

ডেঙ্গু আক্রান্ত ওজিফা বেগম (৫৪) বলেন, গত বুধবার আমি জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। পরীক্ষা করে ধরা পড়েছে ডেঙ্গু। খুবই যন্ত্রণা সহ্য করছি। অন্যদের মধ্যে যেন এ রোগ না ছড়ায় সেজন্য মশারির ভেতরে শুয়ে আছি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটোন জানান, রাজবাড়ী জেলায় প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসে ঢাকা থেকে। এখন স্থানীয়ভাবেই কিছু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে যাদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। এর মাধ্যমে বোঝা যায় রাজবাড়ী থেকেও মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুর জন্য সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা সব সময়ে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা।  

তবে আইসিইউ সাপোর্ট নেই রাজবাড়ীতে। জেলা শহরের পাশাপাশি এখন উপজেলাগুলোতেও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে রোগীর সংখ্যা বেশি। এডিস মশা নিধনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। না হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।