ফরিদপুর: ফরিদপুরে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৪ জন রোগী।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮১ জন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪৭ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন।
শয্যা সংকটে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহা. এনামুল হক বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ১৪৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা এখানে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালে একটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়, সেখানে ৫০ জন রোগী রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরও ৫০ জন ভর্তি রয়েছে। এখন শয্যা সংকটে রোগীদের ফ্লোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বেড বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছি। তবে ওষুধের কোনো সংকট না থাকলেও রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১হাজার ৪৭৭ জন। এর মধ্যে ১হাজার ১৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনজন।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভা মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সড়কের পাশের ড্রেনে স্প্রে এবং ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন অভিযান চালানো হচ্ছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, জেলা শহরের বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনে ময়লা আবর্জনা থাকায় সেখানে মশার লার্ভা পাওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
আরএ