ঢাকা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাব। পাশাপাশি তারা বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও দেবে। এর মধ্যে ব্লাড সেপারেটর, ফ্রিজার, অটো হেমাটোলাইজার এবং ব্লাড ব্যাগ রয়েছে। এসব জিনিস আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়। এসব জিনিস আমাদের রয়েছে এবং যেগুলো পেলাম তাতে আমাদের হাসপাতালগুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড রয়েছে, আইভি ফ্লুইড বা স্যালাইনের কোনো অভাব নেই। ডেঙ্গুর চিকিৎসাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনো আছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে এবং দুই হাজারের বেশি লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যেটা দেখেছি, ঢাকার বাইরে সারা দেশে এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেশি। ঢাকায় সংক্রমণের হার কমে আসছে, কিন্তু মৃত্যু হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ক্রিটিক্যাল কেসগুলো ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। লম্বা সময় জার্নি করে আসার কারণে অনেক সময় রোগী শক সিনড্রমে চলে যায়। ফ্লুইডের অভাবেও তারা মৃত্যুবরণ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। নারীরা অনেক সময় চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। নারীদের প্রতি আরও বেশি সজাগ হওয়া প্রয়োজন। নারীদের তাড়াতাড়ি পরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই নারীদের মৃত্যুর হার কমে যাবে।
তিনি বলেন, যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গুরোগীও থাকবে। কাজেই আমাদের মশা কমাতে হবে। মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে, নিজের আঙিনা, ঘরের ভেতর নিজেদের ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এর বাইরে ডোবা-নালা যেগুলো রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা করবে। তাদের আমরা সব সময় বলে আসছি, বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি তাদের করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তা না হলে প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস