ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ইপিআই কর্মসূচিতে টিকাদানের হার ৮০.২ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১২

ঢাকা: ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী ইপিআই কর্মসূচিতে উদ্দিষ্ট শিশুদের সময়সূচি মেনে সবগুলি টিকাদানের হার ছিল জাতীয় পর্যায়ে শতকরা ৮০.২ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ৭৯.৪ শতাংশ।



এক্ষেত্রে প্রথম টিকা অর্থাৎ যক্ষ্মার বিরুদ্ধে টিকাদানের হার ছিল শতকরা ৯৯ শতাংশ।

নবজাতক ও গর্ভবতী মহিলাদের ধনুস্টংকার রোধকল্পে ইপিআই কর্মসূচিতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫ ডোজ টিটি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে এবং জরিপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে ৫ ডোজ টিকা সম্পন্ন করেছে এমন নারীর সংখ্যা জাতীয় পর্যায়ে শতকরা ৩২.১ ভাগ। যথাযথ নিয়মে টিটি টিকা দেওয়ার ফলে শতকরা ৯৩ ভাগ নবজাতক ধনুস্টংকারের হাত থেকে সুরক্ষিত ছিল।

রোববার ঢাকায় হোটেল রূপসী বাংলায় ২০১১ সালের দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির কভারেজ মূল্যায়ন জরিপে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।

মূল্যায়ন জরিপ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে সবগুলো টিকা দিয়ে বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ কভারেজ অর্জনকারী রাজশাহী বিভাগ (৮৫.৮%), সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (৮৮.৮%), সর্বোচ্চ কভারেজ অর্জনকারী প্রথম ৩টি জেলা খুলনা (৯৩.৯%), ঝিনাইদহ (৮৯.৬%), মুন্সিগঞ্জ (৮৯.২%), আগের বছরের তুলনায় সর্বাধিক অগ্রগতি অর্জনকারী ২টি জেলা ঠাকুরগাঁও (অগ্রগতি ১৪.৪%) ও নোয়াখালী (অগ্রগতি ১১.৪%) এবং সর্বাধিক টিটি-৫ কভারেজ অর্জনকারী জেলা হবিগঞ্জ (৫১.৪%) কে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক বলেছেন, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে যে কোনো কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে পারলে সাফল্য অর্জন সম্ভব। স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম আর্থিক বরাদ্দ নিয়েও দেশে গত তিন বছরে ব্যাপক অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন আজ বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরা হয়। এ সম্পর্কে  তিনি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

দেশের আট বিভাগ, সকল জেলা ও সিটি কর্পোরেশন সমূহে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে টিকা প্রদানের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য প্রতি বছরের মতো ২০১১ সালেও জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউনিসেফের সহযোগিতায় এই জরিপ অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের পাশাপাশি মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা এবং নেতৃত্বের দৃঢ় অঙ্গীকারের কারণে জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণে এই খাতের সব কর্মসূচিতে আজ সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ খন্দকার মোঃ সিফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর
রহমান ফকির, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবির, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম আমীর হোসেন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী শতকরা ৮০ ভাগের নিচে থাকা ৩২ জেলা ও ৪টি সিটি কর্পোরেশনে ২০১২ সালকে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ বছর হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন।

এ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে সমগ্র বাংলাদেশে রুবেলা রোগের বিরুদ্ধে শিশুদের ৯ মাস পূর্ণ হওয়ার পর এমআর টিকা এবং ১৫ থেকে ১৮ মাস বয়সী সকল শিশুকে হামের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।