লালমনিরহাট: ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাটে ২৮ জন কুষ্ঠরোগী শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের চিকিৎসার আওতায় নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) লালমনিরহাট সিভিল সার্জনের হলরুমে কুষ্ঠরোগ সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, মানুষের হাঁচি কাশি থেকে সংক্রামিত হয় কুষ্ঠরোগ। এটি শরীরকে ধীরে ধীরে কর্মক্ষম পঙ্গু করে দেয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ ভালো হওয়া সম্ভব। রোগের শেষ পর্যায়ে গেলেও সুস্থতায় ফেরেন রোগীরা। অনেকে এটা গোপন রাখেন। চিকিৎসা করাতে অনীহা প্রকাশ করেন সামাজিক অবজ্ঞার ভয়ে। এটি জীবাণু থেকে সংক্রমিত হয়। চিকিৎসায় কুষ্ঠ থেকে সুস্থ হওয়া যায়।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে কুষ্ঠরোগ মুক্ত ঘোষণা করা হবে। সেই লক্ষ্যে রোগী শনাক্ত করে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে সরকার। লেপ্রা বাংলাদেশ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে রোগীদের শনাক্ত করে চিকিৎসার আওয়ায় এনে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাচ্ছে। তাদের জরিপ মতে রংপুর বিভাগে সর্বাধিক কুষ্ঠরোগী রয়েছে। যার মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ লালমনিরহাটে। এ জেলায় ২৮ জনকে শনাক্ত করে চিকিৎসা দিচ্ছে লেপ্রা বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। যার মধ্যে ২০ জনই পুরুষ।
কোনো কুসংস্কারে কান না দিয়ে আক্রান্তদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কুষ্ঠ কোন অভিশাপ নয়, চিকিৎসায় ভাল হয়-এ স্লোগানে আয়োজিত সচেতনতা কর্মশালায় লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদীন, ডা. দেলোয়ার হোসেন রাজু ও লেপ্রা বাংলাদেশের মনিটরিং অফিসার বদরুল আলমসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
এসআই