ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অটিস্টিক শিশুদের জন্য বেইট আলফার বিশেষ অনুষ্ঠান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
অটিস্টিক শিশুদের জন্য বেইট আলফার বিশেষ অনুষ্ঠান

‘অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের প্রতি সুন্দর সহজ, সরল ব্যবহার করতে হবে।

তাদের জন্য খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। অটিস্টিক শিশুকে অবহেলা না করে তাদেরকে সেবাযত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে সক্ষম ও কর্মক্ষম করে তোলা সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। ’

গত ২ এপ্রিল ছিল ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। প্রতি বছরের মতো অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর মিরপুরে বেইট আলফা অটিস্টিক ফাউন্ডেশন এক আলোচনা সভা এবং অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চিত্রাঙ্কন শেষে অটিজমে আক্রান্ত দুই শতাধিক শিশুর হাতে বিভিন্ন রঙের খেলনা পুতুল এবং ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাট্যব্যাক্তিত্ব ও আলোকচিত্রী শঙ্কর শাওজাল বলেন, অটিস্টিক শিশুদের জন্য একটি আলাদা জায়গা প্রয়োজন। যেখানে তারা নিজেদের ভাবনা আদান-প্রদান করতে পারবে। পাশাপাশি তিনি অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করার বিষয়ে গুরুত্ব তুলে ধরে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।  

অনুষ্ঠানের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে শিখেছি যে, কিভাবে শিশুদের দৈনন্দিন জীবন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এজন্য অটিস্টিক শিশুদের ন্যুনতম মৌলিক কাজ শেখাতে হবে। আজকের এই শিশুদের চিত্রাঙ্কন আয়োজন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিশুর পছন্দ, অপছন্দ, ভালোলাগার বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর একটা তালিকা করে পরিবারের সব সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষক, প্রশিক্ষককে জানাতে হবে।

অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী মো. রবিউল ইসলাম বলেন শিশুরা স্বাধীনভাবে রঙের সাথে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে সহোযোগিতা করে। তাই তাদের জন্য আমাদের আরো অনেক সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ অতিথি নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস বলেন, অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের শারিরীক আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের প্রতি সুন্দর সহজ, সরল ব্যবহার করতে হবে। তাদের জন্য খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। অটিস্টিক শিশুকে অবহেলা না করে তাদেরকে সেবাযত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে সক্ষম ও কর্মক্ষম করে তোলা সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব।

আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ চারুকলা অনুষদের অধ্যক্ষ শিল্পী সামছুল আলম, ডিজাইনার শাহরীন হক, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর জনাব কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা এবং ডাক বাক্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি জিয়াউল হক পলাশ।

চিত্রাঙ্কণ কর্মশালা পরিচালনা করেন চিত্রশিল্পী আশরাফুল কবির কনক। সমন্বয় করেছেন বেট আলফা অটিস্টিক ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক জনাব রকিব হাওলাদার, ফাউন্ডেশনের সদস্য নোমিরা আহমদ এবং ফাউন্ডেশনের নাজিফা মিলা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আরমিন সোমা এবং সহ-সভাপতি জনাব রোমেল মোর্শেদ।

অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর আর্ন্তজাতিকভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।