শরীয়তপুর: তীব্র তাপদাহে সারা দেশের মতো শরীয়তপুরেও বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ। এদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
সরেজমিন গিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র তাপদাহে নাকাল শরীয়তপুরের মানুষ। প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রতিনিয়তই জ্বর, ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
জেলার ১৫ লাখ মানুষের ভরসাস্থল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট এই সদর হাসপাতালে বর্তমানে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় তিনগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত গত ছয়দিনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকশ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে প্রতিনিয়তই শয্যা ও জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে ঠিকমতো সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজন। গরমের বিভিন্ন রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসারা।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে স্বজন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এছাড়া ঠিকমতো সেবা পাচ্ছি না। এখনও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের মধ্যেও চিকিৎসকরা সেবা নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বেশি বেশি পানি পানসহ স্যালাইন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাপদাহে সচেতনতার বিকল্প নেই। কারণ, এই তীব্র গরমে সচেতন না হলে রোগীর চাপ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
এসআরএস