ঢাকা: দেশের মানুষ যেন তাদের রোগের চিকিৎসা দেশে নিতে পারে, সেটাই সরকারের চাওয়া বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এক্ষেত্রে সবার আন্তরিকতার ওপর জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লক ট্রেনিং কমপ্লেক্সে একটি ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কল্যাণ সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানসহ আয়োজক সংগঠনের সদস্য ও আমন্ত্রিতরা।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের বিভাগীয় শহর থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রোগী আসেন। এমনকি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকেও ঢাকা মেডিকেলে রোগী পাঠানো হয়। অধিকাংশ রোগী বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। আমরা চাই দেশের রোগী দেশেই চিকিৎসা নিক। তবে এ বিষয়ে সবার আন্তরিকতা থাকতে হবে।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, পদ্মাসেতুর সফলতা আমরা পাচ্ছি। সামনের জুলাই মাস থেকে রেল সেতু দিয়ে তিন ঘণ্টায় যশোর-খুলনা যাবে ট্রেন। তখন ঢাকায় অফিস করে বাড়ি ফিরতে পারবেন চাকরিজীবীরা। জাতির পিতার আদর্শ মেনে সবাইকে কাজ কাজ করতে হবে। খুলনা বিভাগকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে সুনামের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগে হাসপাতালের জীর্ণশীর্ণ অবস্থা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বর্তমানে বিশাল পরিসরে সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মা সেতু করেছেন। যার সুফল পাচ্ছেন খুলনা বিভাগের জনগণ।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, সব চিকিৎসক-রোগী ঢাকামুখী। খুলনা বিভাগ থেকে ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, সড়ক দুর্ঘটনার অনেক রোগীও ঢাকা মেডিকেলে আসেন। অনেকে রাস্তাতেই মারা যান। যদি বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার উন্নতি ও মেশিনারিজের ব্যবস্থা করা হয়, তখন অনেকেই নিজ বিভাগে চিকিৎসা পাবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. হাসানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল গফুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/