ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাগুরায় ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসায় নেই আলাদা ওয়ার্ড, ঝুঁকিতে অন্যান্য রোগীরা

ডিস্ট্রিক করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
মাগুরায় ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসায় নেই আলাদা ওয়ার্ড, ঝুঁকিতে অন্যান্য রোগীরা

মাগুরা: মাগুরা ২৫০ সদর হাসপাতাল চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন পাঁচজন।

তবে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড না থাকায় সাধারণ রোগীদের সঙ্গে তাদের চিকিৎসাসেবা চলছে হাসপাতালে। জেলার একমাত্র চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হিসেবে  ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা চলছে এভাবে সাধারণ রোগীদের সাথেই।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সদর হাসপাতালে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে পঞ্চম তলায় পাঁচজন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি। তবে এসব রোগীর কেউ বেডে কেউ আবার মেঝেতে বসে-শুয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সাধারণ রোগীদের অভিযোগ, আলাদা ওয়ার্ড করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে সাধারণ রোগীদের ঝুঁকিমুক্ত রাখা উচিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।  

এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৫০ সজ্জা সদর হাসপাতাল হলেও সেটা এখনও খাতা কলমেই। এখনো ১০০ বেড দিয়েই হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। যে কারণে আলাদা করে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি।  

ইয়াসিন আলী ঢাকায় একটি বায়িং হাউসে চাকরি করেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে। সম্প্রতি ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। বাড়িতে এসেই আক্রান্ত হন জ্বরে। পরে সাধারণ চিকিৎসা নিয়ে আবার কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে যান। সেখানে গিয়ে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে তার। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে মাগুরা এসে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। শুধু ইয়াসিন আলী নয়. তার মতো অনেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।  

মাগুরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোবাশ্বের তারা বেগম বলেন ডেঙ্গু ওয়ার্ড এবং পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ডাক্তার রয়েছেন পাঁচজন। সেখানে বেডসংখ্যা ৪৫ টি। রোগীর সংখ্যা বাড়লে মেঝেতে বেড পেতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও আলাদা কোনো ডেঙ্গুওয়ার্ড চালু করতে পারেনি। তাই সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি।

পুরুষ ওয়ার্ডের মেডিসিন ডাক্তার দেবাশীষ বিশ্বাস জানান, বছরের এই মুহূর্তে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। সেক্ষেত্রে মাগুরাও ব্যতিক্রম নয়। মাগুরার হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে তাদেরকে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেক রোগীর মশারির ভেতর বেশি সময় থাকতে পারেন না। তাদের মাঝেমধ্যে মশারির বাইরে পাওয়া যায়। এতে সাধারণ রোগীদের ডেঙ্গু আক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়‌।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।