ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নার্সিং রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবরাহ বন্ধের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
নার্সিং রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবরাহ বন্ধের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব বৈষম্য দূরীকরণ এবং বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল বিনা নোটিশে নার্সিং রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবারহ বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে সোনার বাংলা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন।  

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।  

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) বিভাগ (৩ বছর মেয়াদি) থেকে পাস করা ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০০৫ সালে তৎকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারসহ (নার্সিং) মোট সাতটি হেলথ টেকনোলজি কোর্স চালু করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের রদবদল হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়, জটিলতার সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাসকৃত নার্সিংসহ মোট সাতটি হেলথ টেকনোলজি পাস করা ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি ও বেসরকারি চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাস করার পরে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে একটি কমপ্রিহেন্সিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) দিতে হয়। যা সরকারিও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত অপরিহার্য।

সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী কমপ্রিহেন্সিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) দিতে হবে। সেই সাথে অবৈধভাবে আমাদের ওপর ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এই কোর্স চালাবেনা মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী এক ও অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং সাফল্যের সাথে উত্তীর্ন হই। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এত কিছুর পরেও আমাদের পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) দেওয়া নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা।

তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা আবারও আন্দোলন শুরু করলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৩/৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার/ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজি কোর্সকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সর সাথে সমতুল্য করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তার পরেও বৈষম্যে ভরপুর আলাদাভাবে একটি প্রোটাল তৈরি করে অনলাইন পেশাগত সনদ দেওয়া হয়। এর ফলশ্রুতিতে আমরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ি, পরে সচিব স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ১০ জনকে এক ও অভিন্ন পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) দেওয়া হয়। এরপর আবারও বন্ধ থাকে এই কার্যক্রম।  

সভাপতি মো. আলমগীর রানা বলেন, আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে কোনো ধরনের বঞ্চিত করা হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিসহ আমরণ অনশনে যাব। নার্সিং কাউন্সিল থেকে অনতি বিলম্বে এক ও অভিন্ন রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
ইএসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।