ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চলতি বছরে চিকনগুনিয়ায় ৬৭, জিকায় ১১ জন আক্রান্ত 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
চলতি বছরে চিকনগুনিয়ায় ৬৭, জিকায় ১১ জন আক্রান্ত 

ঢাকা: চলতি বছরে এডিস মশা বাহিত রোগ চিকনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকায় ১১ জন আক্রান্ত  হয়েছেন।  

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে লাইন ডিরেক্টর কমিউনিক্যাবল কন্ট্রোল ডিজিজ প্রোগামের লাইন ডা. অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত মশা বাহিত রোগ চিকনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। জিকা ভাইরাসের আক্রান্তের ৯০ শতাংশের কোনো লক্ষ্মণ (সিম্পটম) থাকে না এবং মৃত্যুহার প্রায় শূন্য। গর্ভবতী মায়েরা জিকা আক্রান্ত হলে তার মাথা ছোট হতে পারে। জিকায় মৃত্যুর হার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।

চিকনগুনিয়ায় মৃত্যুহার প্রসঙ্গে বলা হয়, চিকনগুনিয়ায় মৃত্যুহারখুবই কম। আইইডিসিআর ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে গিয়ে এই ভাইরাস শনাক্ত করেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গুতে অসচেতনতার কারণে হাসপাতালে দেরি করে চিকিৎসা নিতে আসায় মৃত্যু বেশি হচ্ছে। যেকোনো রোগে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও এটা অতি প্রয়োজনীয়। আমরা নিজেদের সহজেই মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে পারি।  

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকা সিটি করপোরেশনে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী। চট্রগ্রামে বাচ্চা এবং বৃদ্ধ বেশি মারা যাচ্ছে। ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুহারও বেশি৷ 

ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার কমানোর জন্য কারও জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার কথাও বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের পরামর্শ এবং সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
আরকেআর/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।