ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আউটসোর্সিং সিন্ডিকেটে জিম্মি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

গৌতম ঘোষ,  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
আউটসোর্সিং সিন্ডিকেটে জিম্মি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার এ প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি-অনিয়মসহ নানা কারণে আলোচনায়।

বিশেষ করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই হাসপাতাল ঘিরে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, যারা প্রতিটি পদে পদে অনিয়মের জাল বিস্তার করেছিল। আওয়ামী শাসনের পতন ঘটলেও এই হাসপাতালকে আঁকড়ে ধরা সেই সিন্ডিকেট আগের মতোই সক্রিয়। এ নিয়ে তিন পর্বের সিরিজ প্রতিবেদনের আজ থাকছে তৃতীয় ও শেষ পর্ব।

রাজধানী ঢাকায় মানসিক চিকিৎসার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এখন আউটসোর্সিং সিন্ডিকেটের কবলে। কাগজে কলমে আউটসোসিং কর্মীর সংখ্যা ৭৮ জন হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। আবার নিয়োগ পেতে ৩০ হাজার থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েও কর্মীরা পাচ্ছেন না পূর্ণ বেতন।

সরকারি নথি অনুযায়ী আউটসোর্সিং কর্মীদের মাসিক বেতন ১৭ হাজার ৬১০ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে পাচ্ছেন ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাকি টাকা চলে যাচ্ছে নিয়োগ দেওয়া ঠিকাদারের পেটে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত কাজ করেও মিলছে না অতিরিক্ত পারিশ্রমিক বা ওভারটাইমের টাকা। দেওয়া হচ্ছে না নিয়মিত বেতন ও উৎসব ভাতা। একই সঙ্গে প্রতি মাসে ঠিকাদারকে দিতে হচ্ছে চুক্তির অতিরিক্ত টাকা। ফলে ঠিকাদারের তকমা লাগিয়ে আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি এখন হরহামেশাই চলে।

সরেজমিনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, এতে আদিল কর্পোরেশন এবং ধলেশ্বরী এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহ করছে। প্রায় ৭৮ জন কর্মচারী সরবরাহ করা দুটি প্রতিষ্ঠানই এ খাতে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছে। এরপরও বছরের পর বছর নিম্নআয়ের শ্রমিকদের বেতনের একটি অংশ নিয়ে নিচ্ছে তারা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনবল সরবরাহের সময় সরকার-নির্ধারিত বেতনের কম বলে কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ হবে বলে কর্মচারীদের জানায়। কিন্তু আসলে কোথায় এই খাত, সে উত্তর চাইলেও মেলে না। চাকরিতে প্রবেশের পর তাদের ব্যাংক হিসাবে সরকার নির্ধারিত বেতন ঢুকলেও পরদিনই সে বেতনের চুক্তির অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান চেক বই তাদের নিজেদের কাছে রেখে দেয়। ফাঁকা চেক বইয়ে কর্মচারীদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে তারা। আর কর্মীকে দেয় নির্ধারিত বেতনের কম টাকা। আবার কোনো কোনো ঠিকাদার ইচ্ছা করে বেতনও বকেয়া রাখে। এতে নিম্নআয়ের এসব চাকরিজীবীকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শ্রম আইন লঙ্ঘন করে দেওয়া হচ্ছে না কর্মচারীদের পুরো বেতন। অন্যদিকে কর্মচারীদের কাছ থেকে নেওয়া অবৈধ অর্থে বিত্ত-বৈভব গড়ছেন ঠিকাদাররা। আউটসোর্সিং খাতের এই অনিয়মের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডা. তারিকুল ইসলাম সুমনের আত্মীয় অফিস সহায়ক মিরাজ।

এদিকে বছরের পর বছর চলতে থাকা ঠিকাদারদের এসব অনিয়ম, আধুনিক দাসত্ব ও বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি চান ভুক্তভোগী কর্মীরা। তারা বলছেন, আমরা চাই ঠিকাদারি এই শোষণের অবসান হোক। আমাদের রক্ত পানি করা বেতনের টাকা অন্য কেউ খেতে না পারুক। দীর্ঘদিন তারা আমাদের কাছ থেকে যে অর্থ অন্যায়ভাবে নিয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে রাষ্ট্র যথাযথ পদক্ষেপ নিক। অন্তত ঠিকাদারি প্রথা বিলুপ্ত করা হোক। এমন দুর্বিষহ ব্যবস্থার অবসান হোক।

এ বিষয়ে আউটসোর্সিং কর্মচারী তাপস কান্তি বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ১৭ হাজার ৬১০ টাকা বেতন পাই না। আমাদের ১৫ হাজার করে বেতন দেওয়া হয়। বাকি টাকাটা কোথায় যায় আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা ঠিকাদারদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে এটা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটেই দেওয়া লাগে। আবার অফিস থেকে বলা হয়, এটা ঠিকাদাররা জানে। কোম্পানির কাছে জিজ্ঞাসা করলেই বলে অফিসের নানা খরচ-খরচা আছে। কেউ ৮ হাজার টাকা, কেউ ১০ হাজার টাকা আবার কেউ ১৫ হাজার টাকা করে বেতন পায়।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বললে চাকরি হারানোর হুমকি
ভুক্তভোগী আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বলছেন, অনিয়মের বিষয়ে কথা বলার কেউ নেই। রক্তচোষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বললেই চাকরি চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয় হয়রানির হুমকি। দায়িত্বরত অবস্থায় খেতে গেলে বা বাথরুমে গেলেও শুনতে হয় গালমন্দ।

এ বিষয়ে জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউটের এক কর্মী তুহিন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমি কাজ করছি। আমাকে মাত্র ৮ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। অথচ আমাদের মূল বেতন ১৭ হাজার ৬১০ টাকা। সহকারী বাবুর্চি হিসেবে আমি এতদিন কাজ করেছি। গত ৫ আগস্ট সরকারপ্রধান পালিয়ে যাওয়ার পরদিন আমাদের হাসপাতালে কেক কেটে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই কেক কাটা অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। এর কয়েকদিন পর থেকেই আমার ডিউটি নেই। ওয়ার্ড মাস্টার মিরাজ আমাকে বলেছিলেন, আগামীকাল থেকে তোমার ডিউটি নেই। তিনি ডা. তরিকুল আলম সুমনের আত্মীয়। আমি এখন বেকার হয়ে ঘুরছি। ওই কেক কাটতে যাওয়াতেই আমার এই অবস্থা।

আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগে নেওয়া হয় মোটা অংকের ঘুষ
চাকরিপ্রত্যাশীদের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগের সময়ও নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ক্ষেত্রবিশেষে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। এমন একাধিক অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। উপায়ন্তর না পেয়ে গরিব মানুষেরা ‘টাকা দিয়ে’ই চাকরি নেন। অনেকে এজন্য ঋণ নেন, পরে ঋণের কিস্তি দিতে দিতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধলেশ্বরীকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কাজ করছেন কাজল রানী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছি। যারা কম টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছেন তাদের বেতন কম। যারা দেড় লাখ টাকা দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন তারা বেতন পান ১৫ হাজার। যারা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন তারা বেতন পান ১০ হাজার টাকা। কিন্তু আমি ৫০ হাজার টাকা দিয়েও বেতন পাই ৮ হাজার টাকা। আমাদের সব বেতন হাতেই দেওয়া হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কাজ করা মো. মহিউদ্দিন নামের আরেক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নিয়োগের সময় এসব প্রতিষ্ঠান কারো কাছে ৫০ হাজার, কারো কাছে দুই লাখ, কারো কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার এমনকি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা করেও নিয়েছে। তবে সবাইকে নির্ধারিত বেতনের কম দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত কাজ করেও পাওয়া যায় না ওভারটাইমের টাকা
আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০১৮-এর ৭ (১)-এ বলা হয়েছে, ‘সেবা প্রদানকারী অতিরিক্ত সময় সেবাদানে নিয়োজিত থাকলে চুক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবা মূল্য প্রদেয় হবে’। অর্থাৎ ‘ওভারটাইমে’র জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু এই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কর্মীরা। অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করেও তারা কেউ কোনো অর্থ পাচ্ছেন না। ফলে এ খাত থেকেও প্রতি মাসে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা রাঘববোয়ালরা গিলে খাচ্ছে কর্মীদের টাকা। ঈদ কিংবা পূজায় বছরের কোনো উৎসবেই এসব শ্রমিকদের উৎসব ভাতা দেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে আউটসোর্সিং ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারী নিশাত বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করি। অথচ আমার ডিউটি টাইম ৮ ঘণ্টা। এই যে অতিরিক্ত কাজ করছি, এর জন্য এক টাকাও বেশি দেওয়া হয় না। সপ্তাহে একদিন ছুটি থাকার কথা থাকলেও ডিউটি করতে হয়। এই যে অতিরিক্ত কাজ আমরা করছি, সেগুলোর টাকা কেউই পাচ্ছি না। বরং আমাদের মুল বেতন থেকে কিছু টাকা কম দেওয়া হয়। যে টাকা কেটে রাখা হয়, সেটা কী জন্য কাটা হয়, আমরা জানি না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আটকে রাখে চেক বই
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আউটসোর্সিং কর্মচারীদের চেক বই আটকে রাখে। এসব চেক বইয়ে অগ্রিম স্বাক্ষর নেওয়া হয়। দুই তিন মাস পর বেতন পেলে সেসব চেক বই দিয়ে উত্তোলন করা হয় টাকা। চুক্তির অতিরিক্ত টাকা কেটে রেখে দেওয়া হয় বাকি বেতন।

আউটসোর্সিং কর্মী রমজান আলী বলেন, চাকরি পাওয়ার প্রথম মাসেই আমার কাছ থেকে চেক বই নিয়ে গেছে। প্রতিটা পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। আমার ব্যাংক একাউন্ট অথচ আমি টাকা ওঠাতে পারি না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা উঠিয়ে মূল বেতন থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা কম বেতন আমাদের দেয়। এ বিষয়ে কথা বললেই চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। নইলে অতিরিক্ত ডিউটি দিয়ে হয়রানি করে। কথা কথায় গায়ে হাত তোলে। অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের হাত ওপর পর্যন্ত রয়েছে।

বেতন বৈষম্য নিয়ে কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ
আউটসোর্সিং খাতে চলমান এই বেতন বৈষম্য নিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এসব কর্মচারীরা। পৃথক পৃথক অভিযোগে তারা এই খাতের নিয়োগ বাণিজ্য, বেতন বৈষম্য, ওভার টাইমের টাকা না দেওয়া, ছুটি না দেওয়া, নির্ধারিত সময়ে বেতন না দেওয়া, চেক বইতে সই নিয়ে চেক বই আটকে রাখাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। পরিপূর্ণ বেতন চাইলে চাকরি থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।  

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আদিল কর্পোরেশনের মালিক আপন মিয়া বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। আমরা সবাইকে পরিপূর্ণ বেতন দেই। এছাড়া নিয়োগ দেবার নামে মোটা অংকের এই ঘুষের অভিযোগও মিথ্যা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাতে কিছু টাকা খরচ হয়। সেটা সমন্বয় করতে অনেক সময় কর্মচারীদের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু টাকা সমন্বয় করা হয়। সবসময় বেতন কম দেওয়া হয় না।

নিয়মের তোয়াক্কা না করে আইনবহির্ভূতভাবে শ্রমিকদের বেতন কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলে, আমাদের এক মাসের বেতন দিতে পারিনি এখনো। এক মাস বাকি থাকতে পারে। তবে নির্ধারিত বেতনের চেয়ে আমরা কম বেতন দিই না। সরকারের নিয়ম অনুযায়ীই তাদের বোনাস নেই; ছুটি নেই। এক্ষেত্রে ঠিকাদারদের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।

জানা গেছে, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করার প্রক্রিয়া থাকলেও বছরের পর বছর ঘুরে ফিরে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই চুক্তি নবায়ন করছে। আর টেন্ডারের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রেও নেওয়া হয় অভিনব কৌশল। দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোতে টেন্ডার আহ্বান না করে তেমন প্রচার নেই এমন কিছু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এককভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া চালানো হয়। ফলে এ চক্রের বাইরে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে জনবল সরবরাহের নজির বিরল। এককভাবে এসব চুক্তি নবায়ন করে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষদের কষ্টের অর্থ চুরি করছে।

** প্রথম পর্ব 
এখনো ‘ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের’ কবলে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
** দ্বিতীয় পর্ব 
মানসিক ইনস্টিটিউটের ‘বৈষম্যবিরোধী’ ওয়ার্ডে দায়সারা সেবা


বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।