ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পাবলিক হেলথের নতুন কারিক্যুলাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১২
উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পাবলিক হেলথের নতুন কারিক্যুলাম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাবলিক হেলথ (গণস্বাস্থ্য) বিষয়ক শিক্ষাকে অধিকতর গবেষণা ও গণমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, নতুন কারিকুলাম পাবলিক হেলথ বিষয়ক শিক্ষাকে অধিকতর গবেষণা ও গণমুখী করে তুলবে।

এর ফলে সকলের জন্য উন্মুক্ত হলো পাবলিক হেলথ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দরজা।

সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘পাবলিক হেলথ এডুকেশনের ওপর প্রণীত নতুন কারিক্যুলাম’ বিষয়ক এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি ও মূল বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন প্রাণ গোপাল দত্ত।

উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন কারিক্যুলামে পাবলিক হেলথ বিষয়ে এমপিএইচ ডিগ্রি প্রদান করতে যাচ্ছে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্রেডিট ও সেমিস্টার পদ্ধতিতে ওই কোর্স কারিক্যুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন পদ্ধতির কারিক্যুলাম শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফার বিষয়ক দীর্ঘদিনের দাবিরও অবসান ঘটাবে।

এর ফলে এখন থেকে চিকিৎসক ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষের জন্য পাবলিক হেলথ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা (এমপিএইচ ডিগ্রি) গ্রহণের দরজা উন্মুক্ত হলো বলে তিনি জানান। কোর্সের মেয়াদও এক বছর থেকে বাড়িয়ে দেড় বছর করা হয়েছে।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়ার নেতৃত্বে গঠিত কারিক্যুলাম কমিটির মাধ্যমে পাবলিক হেলথের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষকগণ এক বছরের চেষ্টায় এ কারিক্যুলাম প্রণয়ন করেছেন।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. খালিদ এম হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের প্রধান ডা. জি এইচ রাব্বানী, সহকারী অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক সরোজ কুমার মজুমদার, বাংলাদেশ ইন্সিটিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক লিয়াকত আলী প্রমুখ।

সরকারী, বেসরকারি, এনজিও এবং দাতা সংস্থার প্রায় ২০০ জন পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন এ কর্মশালায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।