ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চট্টগ্রামে অ্যাপোলোর টেলিমেডিসিন সেন্টার চালু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৩
চট্টগ্রামে অ্যাপোলোর টেলিমেডিসিন সেন্টার চালু

চট্টগ্রাম: উপমহাদেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল অ্যাপোলো গ্লেনিগলস হসপিটালস রোগীদের দ্রুত ও সহজভাবে সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে টেলিমেডিসিন সেন্টার চালু করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ডাক্তারপাড়া খ্যাত জামালখানের আজাদ ভবনে এ টেলিমেডিসিন সেন্টারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এসময় তিনি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুপালী বাসুর সঙ্গে টেলি কনফারেন্সে কথা বলেন। উদ্বোধনের সময় হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এ সেন্টার চালু করায় চট্টগ্রামবাসী অনেক উপকৃত হবে। এ সেন্টারের মাধ্যমে রোগী খুব সহজেই ভাল ও উন্নতমানের চিকিৎসা নিতে পারবে। ’

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানিয়ে সাবেক নগর পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর কথা বিবেচনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামে আধুনিক সুযোগ-সমন্বিত হাসপাতাল চালু করবে এ প্রত্যাশা করি। ’

মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যের জবাবে হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী রুপালী বাসু বলেন, ‘চট্টগ্রামের সঙ্গে কলকাতার ঐতিহাসিক একটি সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু করতে চাই। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এ টেলিমেডিসিন সেন্টার চালু করা হল। ’

টেলিমেডিসিন সেন্টারের কর্মকর্তা সৈয়দ রিফাত ফারুক সম্রাট বাংলানিউজকে জানান, এ সেন্টার চালু উপলক্ষ্যে কলকাতা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মঙ্গলবার দিনব্যাপী রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেন। নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. শান্তনু পাঁজা প্রায় ৭০ জন এবং ইউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডা. অম্লান চক্রবর্তী ৫০ জন রোগীকে সেবা দেন।

এদিকে নগরীর চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাবে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের প্রধান ব্র্যান্ডিং ও কমিউনিকেশন কর্মকর্তা সঞ্জিত নায়েক, ডা. অম্লান চক্রবর্তী, ডা. শান্তনু পাঁজা এবং হাসপাতালের অ্যাডভাইজার মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু সরকার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ সেন্টার চালু হওয়ায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য এখন রোগীদের ভারতে যেতে হবে না। এতে তাদের ভ্রমণ, থাকা-খাওয়ার খরচ লাগবে না। পাশাপাশি এখান থেকেই তারা হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবেন।

এছাড়া ভারতে চিকিৎসার জন্য ভিসা জটিলতা দূর করতে রোগী ও তাদের স্বজনদেরকে এ সেন্টার সহযোগিতা করবে বলে জানান হাসপাতালের কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পূর্ব ভারতের একমাত্র জে. সি. আই. স্বীকৃত এ হাসপাতালে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। বিশ্বের মধ্যে এ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি কিডনি-লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। ৫১০ শয্যবিশিষ্ট এ হাসপাতালে আগামী দু’বছরের মধ্যে হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ঘণ্টা, আগস্ট ০৬,২০১৩

এসজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।