ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে চিকিৎসকরা গ্রামমুখী হবেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে চিকিৎসকরা গ্রামমুখী হবেন

ঢাকা: সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের হয়রানি বন্ধ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে চিকিৎসকরা গ্রামমুখী হবেন।

রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্য সেবা জনবল: সংকট না অব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মত দেন।

স্বাস্থ্য আন্দোলন এর আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা আরও বলেন, চিকিৎসক ও নার্স সংগঠনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে পারলেই চিকিৎসা সেবায় বৈষম্য দূর হবে।

মতবিনিময় সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে সরকারি হাসপাতালে এখনও ভালো চিকিৎসা হয়।

জনবল সংকট কোনো সমস্যা নয়, বিদ্যমান জনবলকে সঠিকভাবে ও সঠিক জায়গায় কাজে লাগানোই সমস্যা।

স্বাস্থ্যখাতকে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্ত করে বরাদ্দ বাড়াতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ডাক্তারদের গ্রামে পাঠানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের মফস্বলে পাঠানোর মতো কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই চিকিৎসকরা মফস্বলে থাকছেন না।

কারণ বদলিগুলো বেশিরভাগই রাজনৈতিক বিবেচনা ও পছন্দ মতো হয়। চিকিৎসা সেবায় গ্রাম ও শহরের বৈষম্য কমলে এবং চিকিৎসকদের বেতন ও সুবিধা বৃদ্ধি করলে চিকিৎসকরা গ্রামে থাকবেন।

চিকিৎসক সংকট নিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকায় দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার কনসালট্যান্ট থাকলেও ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা পায় না।

বাংলাদেশে তিন লাখ ষাট হাজার চিকিৎসক বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে তদারকি, ওষুধের অব্যবস্থাপনা দূর ও জনবল অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. রশীদ মাহমুদ বলেন, আধুনিক চিকিৎসায় জনবল দরকার। কিন্তু দেশে জনবল বন্টনের চিত্র ভয়াবহ।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে বেডের চেয়ে চিকিৎসক বেশি। অথচ চিকিৎসকদের মফস্বলে বদলি করলে ক্ষমতা ও টাকার বিনিময়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন।

চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস, বিলবোর্ড ব্যবহার আইনবিরোধী হলেও চিকিৎসকরা রাজনৈতিক প্রভাবে তা ব্যবহার করছেন। স্বাস্থ্যখাতকে বাঁচাতে হলে চিকিৎসা পেশার সঙ্গে জড়িতদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ নার্স কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম বলেন, দেশের ত্রিশ হাজার নার্স দিয়ে বিশাল এ জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করা কঠিন। সারাদেশে নার্স ও চিকিৎসকদের বন্টন অব্যবস্থাপনা দূর করার আহ্বান জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
আরইউ/এসআর/আরআই/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।