ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে নেশা

আজিবুর রাহমান রাজিব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৩
তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে নেশা

ঢাকা: নেশা আমাদের সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর সঙ্গে ধ্বংস করে দিচ্ছে সমাজের হাজারও পরিবারের সুখের সংসার।



নেশা একটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ। এই নেশার ছোবলে পরে মানুষ তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে।

শরীর যেভাবে নেশায় আসক্ত হয়

প্রথম দিকে মানুষ নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে কৌতূহলের বশে অথবা বন্ধু বান্ধবের প্ররোচনায়। একদিন দু’দিন করতে করতে একসময় এই নেশার মানুষকে বশ করে ফেলে। একসময় নেশা ছাড়া সে কিছু চিন্তাই করতে পারে না। হেরোইন, মরফিন, কোকেইন, প্যাথিডিন, অ্যালকোহল, নিকোটিন সবচেয়ে ব্যবহৃত মাদক। বর্তমানে বাংলাদেশে ইয়াবা সেবন হছে ব্যাপকভাবে। শহর থেকে গ্রামে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা।

অনেক সময় ডাক্তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এইসব ঔষধ পথ্য হিসেবে দিয়ে থাকে। যেমন: হেরোইন, মরফিন, কোকেইন, প্যাথিডিন  ব্যথা নাশক এবং অপারেশনের সময় শরীর অবশ করার জন্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

শারীরিক উপসর্গ
•    চোখ লাল হয়, চোখের মনি বড় হয়।
•    ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
•    অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বেড়ে বা কমে যেতে পারে।
•    শারীরিক ভাবভঙ্গী বা গঠনের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
•    চেহারার লাবণ্য ও তারুণ্য নষ্ট হয়ে যাবে।
•    শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা কমে যায়
•    স্মৃতি শক্তি কমে যায়
•    রক্তচাপ এবং হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায়
•    হতাশা বেড়ে যায়

মানসিক উপসর্গ
•    ব্যক্তিত্তের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটবে।
•    সহজে রাগান্বিত হয়ে যাবে এবং আক্রমণাত্মক শারীরিক ভাবভঙ্গি থাকবে।
•    সমাজে নিজেকে মানিয়ে চলারসক্ষমতা কমে যাবে।
•    প্রতিদিন নেশা সেবন করতে হবে, আমনকি দিনে কয়েকবার।

চিকিৎসা ও পরামর্স
এইসব উপসর্গ দেখাদিলে অবশ্যই মানুষটির প্রতি পরিবারের সবার সজাগ থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে নেশার উপরে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিজেকে আগে নেশার ছারার প্রতিজ্ঞা করতে হবে, এবং এই নেশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দারাতে হবে সমাজের প্রতিটি মানুষের কারন সমাজথেকে একজন নেশাগ্রস্থ মানুষকে ভালকরা গেলে বেচে যাবে একটি পরিবার, আভাবেই এগিয়ে যাবে একটি সমাজ একটি দেশ। নেশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতেহলে ডাক্তারের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি পরিবার, বন্ধু বান্ধবের সাহায্য নেওয়ার বিকল্প নাই।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৩
এআরআর/কেএইচ/বিএসডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।