ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

টি-টোয়েন্টিতে এইচআইভি নিয়ে কথা বলবেন সাকিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৪
টি-টোয়েন্টিতে এইচআইভি নিয়ে কথা বলবেন সাকিব ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিচক্ষণতার সঙ্গে এইচআইভি সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্ম রক্ষায় নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় ও ‘থিঙ্ক ওয়াইজ’ ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র সাকিব আল হাসান।
 
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ইউএনএইড্‌স এবং ইউনিসেফ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুনরায় দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন সাকিব।


 
থিংক ওয়াইজ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্যে এবারের টুর্নামেন্টে ১৬টি ম্যাচ উৎসর্গ করা হয়েছে। বিশেষ করে ৬ এপ্রিলের ফাইনাল এবং দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ রয়েছে। সব অংশগ্রহণকারী দল ও অফিসিয়ালরা লাল রিবন পরিধান করবেন এ খেলাগুলোতে।
 
আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে ‘থিঙ্ক ওয়াইজ’ এর বার্তাগুলো পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এ খেলাগুলোতে পুরস্কার বিতরণীসহ অন্য সুযোগগুলোতে এইচআইভি ও এইডস সম্পর্কে সচেতনতামূলক বার্তা দেবেন সাকিব।
 
প্রচার মাধ্যমগুলোতেও ৩০ সেকেন্ডের একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে থাকবে সাকিবের বার্তা। থিঙ্ক ওয়াইজ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এইচআইভি আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান সাকিব। তিনি এ সময় শিশুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন।
 
সাকিব বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে একজন খেলোয়াড় এইচআইভি ও এইডস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সুদূর-প্রসারী প্রভাব ফেলতে পারেন।
 
তিনি আরো বলেন, যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অসচেতনতা ও সাধারণ অজ্ঞতার কারণে অনেক বেশি এইচআইভি ও এইডসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
 
তিনি বলেন, আমরা জানি যে, সারা বিশ্বজুড়েই এইচআইভ ও এইডস এর সংক্রমণ রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এমন সব সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা ও অসমতার বিরুদ্ধে ক্রিকেট একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণ উৎপাদনক্ষম তরুণ শ্রেণিভুক্ত।
 
সাকিব বলেন, ‘আজ আমি এখানে আমার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি যে, সমগ্র ক্রিকেট বিশ্বকে সাথে নিয়ে সুবিবেচিত চিন্তায় উৎসাহিত করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম রক্ষায় আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব। ’
 
২০১০ সাল থেকে থিঙ্ক ওয়াইজ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কাজ করছেন সাকিব।
 
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফ প্রতিনিধি প্যাসকেল ভিলনোভ বলেন, ‘এ কার্যক্রমটি সারাবিশ্বে সাকিবের মতো প্রসিদ্ধ ক্রিকেটারদের সহায়তায় চলছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে বিশেষত কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের নিজেদের সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।
 
থিঙ্কস ওয়াইজ কার্যক্রমটি ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বব্যাপী এইডস সংকট মোকাবেলায় একত্রে কাজ করে যাচ্ছে।
 
ইউএনএইডস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর লিও কেনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্যে সাকিব একজন বড় অনুপ্রেরণা। নতুন এইচআইভি সংক্রমণ শূন্যে নামিয়ে আনা, এইডসে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা এবং বৈষম্যকে শূন্যে নামিয়ে আনার জন্যেও কাজ করছেন তিনি।
 
এই সহযোগিতা সকল খেলোয়াড়, কোচ, ধারাভাষ্যকার, প্রচারক, স্বেচ্ছাসেবক ও দর্শকদের এইডস সম্পর্কে জানাবে।
 
ক্রিকেট শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, সারাবিশ্বের তরুণ জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে ‘থিঙ্ক ওয়াইজ’ এর মুখপাত্ররা হলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি, শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং এবং ভারতের বীরেন্দ্র শেবাগ।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল এইডস ও এসটিডি প্রোগ্রামের পরিচালক হোসেইন সরওয়ার এবং আইসিসির ধীরাজ মোহন।
 
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৩ ঘন্টা,  মার্চ ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।