ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দ্রুত তৈরি হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪
দ্রুত তৈরি হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে দ্রুত নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর রায়ের বাজার ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।



জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) যৌথভাবে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

হুইপ বলেন, কেবল রাজস্বের কারণে তামাককে অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া হবে না, কারণ তামাক থেকে যে আয় হচ্ছে তা আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী দ্রুত একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে।

কৃষি খাতে বরাদ্দকৃত সার যেন তামাক উৎপাদনে ব্যবহার না করা হয় সে ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ছাড়াও পাবলিক এবং ওয়ার্ক প্লেসে ধূমপান করলে তার জরিমানার পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান শহীদুজ্জামান।

আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত বেতন দিয়ে (কর্মক্ষেত্রে) তামাকের পক্ষে নিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও তাদের তামাক বিরোধী অবস্থান নেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন হুইপ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার মো. মোস্তফা জামান বলেন, শুরু থেকে কেবল সিগারেটে জোড় দেওয়ায় অনেকেই সিগারেট-বিড়ি ছেড়ে ধোঁয়াবিহীন তামাক পান, জর্দা, গুল ইত্যাদি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। বিড়ির দাম বৃদ্ধি, দোকানে বিজ্ঞাপন বন্ধ এবং বিড়ি সিগারেটের প্যাকেটে এর ক্ষতির দিকের ছবি দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। একইসঙ্গে বিও লেটারে স্বাক্ষর করার বিষয়ে সংসদ সদস্যদের সচেতন হওয়া উচিত।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল’র (এনটিসিসি) সমন্বয়ক আমিনুল আহসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাকের অতিরিক্ত উৎপাদন হয় বলেই সেবনের মাত্রাও বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে অধিক তামাক সেবনকারী বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে প্রতি বছর বাংলাদেশে তামাকের কারণে ৫৭ হাজার লোক মারা যায়। হিসেব করলে যা দাঁড়ায় প্রতি নয় মিনিট ২৬ সেকেন্ডে একজন মানুষ তামাকের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে।

ডব্লিউবিবি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনেস্ট টিবি অ্যান্ড লাংডিজিজ-এর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক ইসরাত চৌধুরী, ঢাকা জেলার এডিসি মো. জসিমউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।