ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দৃষ্টি ফিরে পাচ্ছে ৩০ হাজার ছানি রোগী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪
দৃষ্টি ফিরে পাচ্ছে ৩০ হাজার ছানি রোগী ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ন্যাশনাল আই কেয়ার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), বেসরকারি সংস্থা সাইটসেভার্স এবং ১০টি বেসরকারি সহযোগী সংস্থার হাসপাতালের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশব্যাপী ৩০ হাজার ছানি অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মো. নুরুল হক মঙ্গলবার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।



এদিন সকালে রাজধানীর ’ব্র্যাক ইন’ সেন্টারে এ সর্ম্পকে এক যৌথ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
 
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল আই কেয়ার, সাইটসেভার্সসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
মহাপরিচালক জানান, কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সর্বস্তরের মানুষকে চক্ষু সেবা নিতে আগ্রহী করার লক্ষ্যে পেশেন্টস স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম (পিএসপি) করা হবে। গরীব রোগী যাদের ছানি অপারেশন করা প্রয়োজন তাদের বিনা মূলে ছানি অপারেশন করা হবে।
 
দেশের ৪২ জেলায় এ কার্যক্রম সফল ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সহোযোগী সংস্থার মধ্যে ছানি অপারেশন টার্গেট ও ডুপ্লিকেশন এড়িয়ে এলাকা বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে বলে এ সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. জালাল আহমেদ বলেন, সহোযোগী সংস্থাগুলো স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটারেক্ট সার্জিক্যাল প্রোটোকল অনুসরণ করে তাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ছানি অপারেশন করবে। এক্ষেত্রে পেশেন্টস স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম’র (পিএসপি) মাধ্যমে সনাক্ত করা ছানি রোগীদের ছানি অপারেশনের জন্য বা সেবা প্রদান বাবদ কোনো টাকা গ্রহণ করা হবে না।
 
সাইটসেভার্স বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, সাইটসেভার্সের দরিদ্র এবং হতদরিদ্র ছানি রোগীদের প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে ১০০ ভাগ বিনা মূল্যে ছানি অপারেশন করানো হবে।
 
সহোযোগী সংস্থাগুলো অপারেশন করা ছানি রোগীদের আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি), ভিশনসেন্টার, সাব সেন্টার, পিএসপি অথবা স্পেশাল ফলোআপ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা থাকবে। ফলোআপ ভিজিটের সময় রোগীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া যাবে না।
 
ডা. কিবরিয়া আরো উল্লেখ করেন,  রোগীর সুবিধার্থে অপারেশনের সময় গাড়িতে করে হাসপাতালে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থাও এ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে।
 
সহযোগী সংস্থার সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল:
 
আদ্-দ্বীন (কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা), ঢাকা প্রোগ্রেসিভ লায়ন্স (নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর), কাশেম ফাউন্ডেশন (কুড়িগ্রাম, নীলফামারী), গাউসল আজম বিএনএসবি আই হাসপাতাল (দিনাজপুর), প্রফেসর এম এ মতিন মেমোরিয়াল বিএনএসবি বেইস আই হাসপাতাল (সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর), বগুড়া মিশন হাসপাতাল (বগুড়া), বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি- কুমিল্লা (কুমিল্লা), ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েসন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, (ভাড) কুমিল্লা, ঢাকা-সাভার,ধামরাই, মানিকগঞ্জ ও দোহার), ডা. কে জামান বিএনএসবি আই হাসপাতাল, ময়মনসিংহ (ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনা), কক্সবাজার বায়তুশ শরীফ হাসপাতাল (কক্সবাজারের চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, সাতকানিয়া, বাশখালী, পটিয়া,আনোয়ারা, বোয়ালখালী, হাটাজারী, রাওজান, চন্দনাইস), চট্টগ্রাম (রাংগুনিয়া) এবং বান্দরবন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।