ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহারকারী ৭৯ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪
খুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহারকারী ৭৯ শতাংশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা বিভাগে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহারকারীর হার ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৪ উপলক্ষে আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায়।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নানা দুর্যোগ সৃষ্টি হওয়ায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলেও কর্মশালায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।



খুলনা বিভাগীয়  ও জেলা প্রশাসন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর ও খুলনা সিটি করপোরেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে এনজিও ফোরাম।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায়  প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম ওয়াহিদুল ইসলাম ও আনসার ও ভিডিপির বিভাগীয় পরিচালক মো. আকবর আলী।

সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ। স্বাগত জানান এনজিও ফোরামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক খোন্দকার রাকিবুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর আব্দুল্লাহ হারুন।

কর্মশালায় উপস্থাপিত স্যানিটেশন পরিস্থিতিতে দেখা যায়, ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, খুলনা বিভাগে স্যানিটেশন কাভারেজের হার ৭০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা ২০০৩ সালে ছিল ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বর্তমানে জেলা প্রতি হিসাব অনুযায়ী, খুলনা জেলায় স্যানিটেশন কাভারেজ ৭৫ দশমিক ১০ শতাংশ, সাতক্ষীরায় ৮০ দশমিক ২১ শতাংশ ও বাগেরহাটে ৮৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। যশোর জেলায় ৭৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ, মাগুরায় ৯০ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ঝিনাইদহে ৮৪ দশমিক ১২ শতাংশ। কুষ্টিয়া জেলায় স্যানিটেশন ক‍াভারেজ ৭৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, মেহেরপুরে ৭৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৬১.৬০ শতাংশ।

খুলনা বিভাগে পরিবারের সংখ্যা ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪টি। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করা পরিবারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫২ হাজার ১৩৩টি। এ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, স্যানিটেশনের অভ্যাস করি, সুস্থ সবল বাংলাদেশ গড়ি।

এছাড়া ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে হাত ধোয়া কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পানির অপচয় রোধ ও পরিকল্পিত ব্যবহার করে নিরাপদ পানির সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে দেশে প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ শিশু মারা যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে একই কারণে শিশু মৃত্যুর হার ছয় শতাংশ।

বক্তারা আরও বলেন, শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা অর্জনের জন্য জনগণের আচরণগত পরিবর্তন আবশ্যক।

কর্মশালার পর রূপান্তরের পরিবেশনায় পটগানের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কালেক্টরেট ভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে হাত ধোয়ার কলাকৌশল শেখানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।