ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সেই ‘ভুয়া’ চিকিৎসককে আবার ধরার নির্দেশ মন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪
সেই ‘ভুয়া’ চিকিৎসককে আবার ধরার নির্দেশ মন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি

ঢাকা: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছ থেকে চাপ দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া ভুয়া চিকিৎসককে আবারো ধরার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বনানী থানার কড়াইল বস্তি এলাকায় ভুয়া এক চিকিৎসককে ধরে জরিমানা ও সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বস্তির লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে শেখ শফিক নামের ওই চিকিৎসককে ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি হাসপাতালের সামনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।

সভার শুরুতে বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে পরিচ্ছন্নতা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকাল দেখলাম, একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরা হয়েছে। জনগণ চাপ দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য করেছে। এটা কোনো কথা হলো? তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, তিনি ভুয়া ডাক্তার। চাপে পড়ে তাকে ছেড়ে দিতে হবে?

মন্ত্রী বলেন, ভুয়া ডাক্তারের জন্য কেউ মারা গেলে দায়ী কে হবে? আমরা হবো। বলবে, এখানে ভুয়া ডাক্তার ছিলেন, চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছেন। যারা রক্ষা করলেন, তাদের শাস্তি কী হবে? তাদের ওপরও অ্যাকশন নিতে হবে। এখানে পুলিশের লোকজন আছেন, অনুরোধ করবো, ভুয়া ডাক্তারকে আবার ধরতে হবে, তাদের ওপর অ্যাকশন নিতে হবে। পুলিশকে বলবো, আবার যেন তাকে ধরা হয়।

শফিক শেখ নামের ওই চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে সাধারণ বস্তিবাসীর সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। বুধবার র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। পরে এলাকাবাসীর চাপে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শিশু হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী
শেরেবাংলা নগরে শিশু হাসপাতালের সামনের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালের পরিচালকের সামনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আবারো যেন অবৈধ দখল না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এক পর‌্যায়ে মন্ত্রী বলেন, কই, শিশু হাসপাতালের ডিরেক্টর সাহেব কই?

উপস্থিত শিশু হাসপাতালের পরিচালক মনজুর হোসেন নিজের উপস্থিতির কথা জানিয়ে বলেন, ‘জ্বি, স্যার’।

তখন মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা শিশু হাসপাতালের। ভেতরেও অপরিষ্কার। সাংবাদিকরাও রিপোর্ট করেন। ডিজি সাহেব সেদিন গিয়েছিলেন। যেখানে শিশুরা চিকিৎসা পাবে, সেখানে যদি আপনারা নজর না দেন, এগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। আপনারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন না, ডিরেক্টর সাব।

শিশু হাসপাতালের পরিচালককে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, আমার দেখার একটা সুযোগ আছে। আমার বাড়ি তো উত্তরাঞ্চলে, আমি যাওয়ার সময় সব সময় চোখ থাকে ডান দিকে। ঢাকনা দিয়ে দোকান বসেছে। পুলিশ দিয়ে সব সময় কাজ করা সম্ভব নয়। সমস্যা ছিল, পলিটিক্যাল হস্তক্ষেপ ছিল। বন্ধ করে দিয়েছি। হোম মিনিস্টার সাহায্য করেছেন। নিজেদের কাজ নিজেরা করতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া সচিব মনজুর হোসেন ছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শিশুদেরর জন্য বিশেষায়িত ওই হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ পুরোনো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।