ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে ব্যয় কমেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪
ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে ব্যয় কমেছে

ঢাকা: ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে অর্থ ব্যায় কমেছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। রোগীদের এখন আর দেশের বাইরে গিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করে এ সার্জারি করতে হয় না বলেও জানান তিনি।



রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিলন হলে সোসাইটি অফ ল্যাপারোস্কোপিক সার্জনস অফ বাংলাদেশের (এসএলএসবি) ৭ম আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ড. প্রাণ গোপাল বলেন, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি অত্যন্ত সেনসিটিভ বিষয়। এ ধরনের সার্জারি করার সময়ে তরুণ চিকিৎসকদের অবশ্যই খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর এ সার্জারিতে বাংলাদেশ বড় সাফল্য অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এস এ আশরাফ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ও বিএসএমএমইউর বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা.  এম ইকবাল আর্সলান।

কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ.এইচ.এম তৌহিদুল আলম। আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও প্যানক্রিয়েটিক হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক সরদার এ নাঈম, অধ্যাপক ডা. মো. সায়েফউদ্দিন আহমেদ।

আন্তজাতিক কংগ্রেসে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি এবং লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের অধ্যাপক হং-জিন-কিম, ওমানের মাস্কট রয়েল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং এশিয়ার এন্ডো-ল্যাপারোস্কোপিক সার্জনসের গভর্নর রা-আদ-আল-মেহেদি, ভারতের পুনের গ্যালাক্সি কেয়ার ল্যাপারোস্কোপিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. শৈলেস পুন্টেম্বেকার এবং ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থিত বিএলকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. দীপ গয়েলসহ বাংলাদেশের ৪৫ জন ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বক্তারা বলেন, অত্যাধুনিক ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে ব্যাপক সফলতা দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের সাজর্নরা। গত কয়েক বছর ধরে দেশের সীমিতসংখ্যক হাসপাতালে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি পদ্ধতিতে রোগীদের পেট না কেটে অপারেশন করা হচ্ছে। রোগীদের এখন আর বাইরে গিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করে এ অপারেশন করাতে হয় না। এতে সময় ও অর্থ ব্যয় এবং দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন বাংলাদেশের রোগীরা । খুব কম সময় ( ৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা) হাসপাতালে থাকতে হয় বলে থাকা বাবদ খরচ বেশ কম হয়।

বক্তারা আরও জানান, সাধারণ অস্ত্রোপচারের তুলনায় এ খরচ ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কম হয়ে থাকে। এছাড়া এ অপারেশনের পর অতিসামান্য এবং কম সময়ের জন্য ওষুধ সেবন করতে হয়। রোগী দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে পারেন বলে অন্যান্য আবাসিক খরচও অনেক কম হয় বলেও জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।