ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সুস্বাস্থ্যে সেরা ১০ পানীয়

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫
সুস্বাস্থ্যে সেরা ১০ পানীয়

খাদ্যের মতো পানীয়ও আমাদের শরীরের জন্য সমান প্রয়োজনীয়। নানা ধরনের পানীয়তে রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু গুণাগুণ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।



পানীয় বিভিন্ন রকম হতে পারে। বিভিন্ন ফলের রস বা প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি চা প্রভৃতি। আমাদের রান্নাঘরেই রয়েছে সহজলভ্য কিছু উপাদান যা দিয়ে তৈরি করা সম্ভব শরীরের উপযোগী সেরা দশ পানীয়। চলুন জেনে নিই।

পানি
পানীয়ের প্রসঙ্গ যেহেতু এসেছেই তাহলে পানি দিয়েই শুরু করা যাক। পানি শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন খুব সহজেই বের করে দেয় ও বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। এছাড়াও পানি শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত।


কমলার রস
কমলার রসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, এন্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে ও রক্তে উন্নত ডিএইএল কোলেস্ট্রল লেভেলকে বাড়ায়।

বিটের রস
বিটের রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা উচ্চরক্তচাপ কমায়, শরীরের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিটের রসের সঙ্গে অন্য ফল ব্লেন্ড করেও জুস বানাতে পারেন।

হট চকলেট
হট চকলেট কার না প্রিয়! পছন্দের এই পানীয়টি মুড বদলে দেওয়া ছাড়াও সেরেটোনিন উৎপাদন করে। সেরেটোনিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কোকোতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এক মগ হট চকলেটে অন্তত ৬০ শতাংশ কোকো থাকে।

ফল ও সবজির স্মুদি
বেরি ও লেবু জাতীয় ফলে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন সি, কলায় রয়েছে পটাশিয়াম। গাজর, লেটুস, শসাও ব্লেন্ড করে জুস করা যেতে পারে। এসব বিশুদ্ধ পানীয় শরীরকে পরিশোধন করে, ভিটামিনের যোগান দেয় সঙ্গে ওজন কমাতেও পারদর্শী। তবে বাজারের জুস না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে প্রচুর চিনি ও সোডিয়াম থাকে।

পুদিনার চা
পুদিনার চা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এটি হজমে সহায়তা করে ও স্নায়ুতন্ত্রকে শীতল রাখে। যারা ইনসমোনিয়ার রোগী তাদের জন্য এটি খুব উপকারী।


ডালিমের জুস
ভিটামিন ও এন্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ডালিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হৃদরোগ ও প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে। ডালিমের রস হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। তবে ডালিমের জুসে চিনি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।


আদা চা
গরম পানিতে আদা সিদ্ধ করে তাতে এক চা চামচ মধু দিয়ে খান। আদার রস যেকোনো ব্যথা সহজেই নিরাময় করে, হজমে সহায়তা করে, শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়া কমায়।

গ্রিন টি
বিশ্বে উৎকৃষ্ট পানীয়গুলোর মধ্যে গ্রিন টির নাম প্রথম সারিতে। এতে রয়েছে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট। গ্রিন টি ক্যান্সার ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

লেবুর পানি
লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ও মধু দিয়ে খান। এতে পেট পরিষ্কার থাকবে। এছাড়াও লেবু জীবণুনাশ করে ও ত্বকের রং ফর্সা করে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।