ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পুষ্টিতে এখনও পিছিয়ে দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫
পুষ্টিতে এখনও পিছিয়ে দেশ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতে অগ্রগতি করলেও পুষ্টি পূরণের ক্ষেত্রে এখনও অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চাহিদার তুলনায় মাংস ও ডিম গ্রহণের পরিমাণ খুবই কম।



এর ফলে পুষ্টির অভাবে শূন্য থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে শতকরা ৩৮ দশমিক ৭ ভাগ ছোট আকৃতির, ৩৫ দশমিক ১ ভাগ কম ওজনের ও ১৬ দশমিক তিন ভাগ আকৃতি ছোট হচ্ছে।

রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পুষ্টি ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা পুষ্টিক্ষেত্রে দেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে এ সব পরিসংখ্যান জানান।

সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ডার্স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা।

সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম সাত্তার মন্ডল।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন বলেন, পুষ্টির অভাবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অপুষ্টিতে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়া রক্ত স্বল্পতাসহ নানা রোগেও আক্রান্ত হতে পারে।

তিনি জানান, দেশি ও ফার্মের মুরগির পার্থক্য নিয়ে অনেক সময়ে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু দেশি ও ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষেত্রে খুব বেশি পার্থক্য পাওয়া যায়নি। বরং ফার্মের মুরগির ডিমে প্রোটিন ও অ্যামাইনো সামান্য পরিমাণ বেশি রয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় পুষ্টি ও প্রাণিবিশেষজ্ঞরা বলেন, অপুষ্টির শিকার মা ও শিশুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমলেও তা খুব বেশি ইতিবাচক নয়। আমরা যদি পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করি, তাহলে ভাতের ওপর চাপ কমবে ও মেধা বিকশিত হবে।
 
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশ অফিসের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট ড. নিতীশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি শিল্পের ওপর জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের অন্যতম বিকশিত শিল্প হিসেবে পোল্ট্রি শিল্পকে গড়ে তুলতে হবে।

সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এ শিল্পকে বিকশিত করার জন্য কাজ করা জরুরি বলেও জানান তিনি।

নিতীশ চন্দ্র বলেন, দেশে পুষ্টি ও খাদ্যে উন্নয়ন করতে হলে সরকারের সদিচ্ছা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য, ডিম ও মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তাদের এক সঙ্গে কাজে করতে হবে।

তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে ডিম ও মুরগির মাংস খাওয়ার প্রবণতা অনেক কম বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫

** ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারিরা এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি!
** বাংলাদেশিরা বছরে সাড়ে ৩ কেজি মাংস খায়!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।