ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিশ্ব কিডনি দিবস বৃহস্পতিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫
বিশ্ব কিডনি দিবস বৃহস্পতিবার

ঢাকা: ১২ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়।

এবছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য, ‘সবার জন্যে সুস্থ কিডনি’।

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অপর্যাপ্ত পানি পান, ব্যথানাশক ওষুধ সেবনসহ নানাবিধ কারণে বিশ্বে ধীরগতির কিডনি রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি বিশেষভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনো ধরনের কিডনি রোগে ভুগছেন। কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও এ রোগে মৃত্যুহার অপেক্ষাকৃত বেশি। সাধারণ স্বাস্থ্য সহায়ক কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন ও ক্যাম্পাস যৌথভাবে দিবসটি পালন করছে।

সেভ লাই ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সহেলী আহমেদ কিডনি রোগ ও এর প্রতিরোধ সর্ম্পকে বলেন, বিশ্ব কিডনি দিবসকে সামনে রেখে শুধু এক দিনের র‌্যালি, সভা, সেমিনার করলেই হবে না, বরং কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য নিশ্চিত করতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একটু সচেতন হলেই কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কারণ শতকরা ৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই কিডনি বিকল রোগের প্রতিরোধ সম্ভব।

তিনি বলেন, আমাদের দেশসহ বেশিরভাগ দেশেই ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণগুলো হচ্ছে, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, নেফ্রাইটিস, বংশগত কারণ, কিডনির পাথরসহ অন্যান্য রোগ। এছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধসহ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন কিডনি বিকলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের দেশে আকস্মিক কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণ হলো ডায়রিয়া। এছাড়া নারীদের গর্ভপাতসহ অগ্নিদগ্ধ রোগীদেরও আকস্মিক কিডনি বিকল হয়।

আমরা জানি, কিডনি রোগ জীবননাশ করে। তাই প্রতিরোধই বাঁচার উপায়। আটটি বিষয়ে সচেতন থাকলেই সুস্থ কিডনি নিশ্চিত করা সম্ভব। সেগুলো হলো- ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সুপ্ত উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্যে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা, কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান পরিহার করা, সুষম খাদ্য গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা, পরিমিত নিরাপদ পানি পান করা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ থেকে বিরত থাকা, কিডনির কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা করা।

রক্তের এস. ক্রিটিনিন ও ইউরিন-আরএমই ব্লাড সুগার ও ব্লাড প্রেসার চেক করলেই জেনে নেওয়া যায় আপনার কিডনি সুস্থ কিনা।

বাংলাদেশ সময় ০০৫০ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।