ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশের অধিকাংশ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট স্বাস্থ্যসেবা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫
দেশের অধিকাংশ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত

টাঙ্গাইল: স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার। জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশ সরকারও অঙ্গীকারবদ্ধ।



আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও শক্তিশালী সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাবে দেশের অধিকাংশ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে এখনো বঞ্চিত রয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতের বেসরকারিকরণ বন্ধের দাবিতে সুপ্র ২০০৩ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

২০১০ সাল থেকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে সামাজিক নিরীক্ষা কার্যক্রমটি বাংলাদেশের ২৪টি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্ভুক্ত নাগরপুর উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ উপজেলায় প্রায় দুই লাখ নব্বই হাজার মানুষ বসবাস করে। দুই লাখ নব্বই হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

সুপ্র এবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গয়হাটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মাইলজানি কমিউনিটি ক্লিনিক ও বীর সলিল কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে স্বাস্থ্যসেবার ওপর জরিপ করেছে।

নাগরপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স:
সুপ্র তাদের পরিবীক্ষণ ফলাফলে উল্লেখ করেছে যে, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে দালালমুক্ত। কারণ বিভিন্ন এলাকায় দালালদের খপ্পর থেকে বাঁচার জন্য লিফলেট টাঙানো হয়েছে। ফলে সাধারণ জনগণ সচেতন হচ্ছে ও উপকার পাচ্ছে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীর জন্য তরল খাবারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কোনো সহযোগিতার ব্যবস্থা নেই।

খাবারের মান ভাল করার জন্য ১২৫ টাকার থেকে ১৭৫ টাকা বাজেট বৃদ্ধি প্রয়োজন। টেলি মেডিসিন চালু রয়েছে কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে রোগীরা এসব কিছুই জানে না। এ ব্যাপারে জনগণকে জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসকদের আবাসস্থল থাকা সত্ত্বেও তারা টাঙ্গাইল শহরে বসবাস করছেন। আর এ কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের সময়মতো পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আলাদা আলাদা টয়লেট থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এগুলো প্রায়ই অপরিষ্কার থাকে। রোগী দেখার সময় মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভেতরে প্রবেশ করলেও চিকিৎসকরা কিছুই বলেন না।

এ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন থেকে রোগী আসার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি পরিপূর্ণ থাকে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই অসহায় ও গরীব। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাও আবার মাঝে মধ্যে বিকল হয়ে যায়। সে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন পরীক্ষা ফি সরকারি নির্ধারিত মূল্যেই হয়ে থাকে।

গয়হাটা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, নাগরপুর উপজেলা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার পশ্চিমে চর অঞ্চল বেষ্টিত এলাকায়।

সেখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। নদী ভাঙন এলাকা বলে মানুষের জীবনমান তত উন্নত নয়। পাশের নদী ভাঙন উপজেলা চৌহালী থেকে অসংখ্য রোগী গয়হাটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসেন ও চিকিৎসা সেবা নেন। এখানে গড়ে প্রতিদিন ৪০/৪৫ জন রোগী সেবা পেয়ে থাকেন।

সেপ্টেম্বর ২০১৪ মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৩শ’ জন শিশু যাদের বয়স এক বছরের নিচে, ৩৮০ জন শিশু যাদের বয়স ১/৫ বছরের মধ্যে, ১৫০ জন পুরুষ আর বাকি ৬৫০ জন নারী সেবা গ্রহণ করেছেন।

এখানে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাসহ এক্সরে মেশিন থাকলে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো অনেক সুবিধা হতো। সর্দি, কাশি, জ্বর, আমাশয়, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক, চর্মরোগ ও ব্যথাসহ সব ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। যে সব ওষুধ দেওয়া হয় এগুলো হলো-প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের বড়ি, কৃমির বড়ি, মেট্রোনিডাজল, ভিটামিন, টেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদি।

এখানে ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার, হিমোগ্লোবিন ও ওজন মাপার ব্যবস্থা আছে। তবে খাবার স্যালাইনের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কোনো সরবরাহ নেই।

পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, অস্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে এখান থেকে খাবার বড়ি, ইনজেকশন, আই ইউ ডি, কনডম বিতরণ করা হয়। স্থায়ী পদ্ধতিতে আছে-লাইগেশন, ভ্যাসেকটমি ও ইনপ্যান্ট।

মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে রয়েছে, ১. গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা। ২. মাসিক নিয়মিতকরণ। ৩. নবজাতক ও শিশুদের হাম, বিসিজি, ডিপিটি টিকা। কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রজনন বিষয়ক পরামর্শ। ৫. শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ। ৬. মা ও শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিতরণ। ৭. ধনুষ্টঙ্কার টিকা। এ সব সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয়রা জানায় সেবাগুলো যথাযথ দেওয়া হয় না।

পরিবীক্ষণলব্ধ সুপারিশ:
 ১. ওষুধ দেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা। ২. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। ৩. যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা উপকরণ বৃদ্ধি। ৫. বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ। ৬. সেবা প্রদানকারী জনবল আরও বৃদ্ধি। ৭. সিজার অপারেশনের ব্যবস্থা থাকা। ৮. মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার জন্য সিটিজেন চার্টার থাকা প্রয়োজন।

বীর সলিল কমিউনিটি ক্লিনিক:
নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত চেচুয়াজানী, ভাটপাড়া সলিল, বীর সলিল গ্রাম নিয়ে ক্লিনিকটি গঠিত।
ভূমিদাতা আ. লতিফ বাচ্চু ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার আলীর সহযোগিতায় ২০০০ সালে ক্লিনিকটি কাজ শুরু করে। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ক্লিনিকটি পরিচালিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধের সহযোগিতা নিয়ে ক্লিনিকটি পরিচালিত হয়।

ক্লিনিকটির তদারকির দায়িত্বে আছেন সিভিল সার্জন। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার জন্য ক্লিনিকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ করে গরীব মানুষের জন্য জ্বর, সর্দি, কাশি, আমাশয় ও গর্ভবতী মা বোনদের ও পরিবার পরিকল্পনার সব ধরনের ওষুধ বিনা পয়সায় মাত্র দুই টাকার টিকিটের বিনিময়ে দেওয়া হয়। গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রসূতি ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত সব ধরনের পরামর্শ এখান থেকে পেয়ে থাকেন।

কোনো রোগীর চিকিৎসা যদি তাদের আওতার বাইরে থাকে তাহলে রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা তারা করে থাকেন।

সরকারি বন্ধ ছাড়া বাকি ছয় দিন কার্যালয়টি খোলা থাকে। এখানে  বিদ্যুৎ ও খাবার পানির সমস্যা অনেক বেশি। টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী।

নিরীক্ষার আলোকে:
১. মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য সেবার মান বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
২. বিদ্যুৎ ও খাবার পানির ব্যবস্থা জরুরিভাবে করা।
৩. সেবা প্রদানকারী জনবল বৃদ্ধি করা।
৪. পরিবার পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতির ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৫. মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষ্মান মাসিক মিটিংগুলি নিয়মিত করা ও কার্যকরের জন্য মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা।
৬. কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে এলাকায় ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে।

মাইলজানি কমিউনিটি ক্লিনিক:
স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া ও তৃণমূল মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রতি ছয় হাজার লোকের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ক্লিনিকটিতে সপ্তাহে ছয়দিন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ক্লিনিকটিতে তিনজন লোক পালাক্রমে কাজ করেন।

এদের মধ্যে একজন সার্ভিস প্রোভাইডার, একজন এফ ডাব্লিউ এ ও অপর জন স্বাস্থ্য সহকারী। এদের তেমন কোনো ভাল প্রশিক্ষণ জানা নেই। জ্বর, সর্দি, কাশি, আমাশয়, ডায়রিয়া, জন্ম বিরতিকরণসহ মায়েদের সব ধরনের পরিবার পরিকল্পনার চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে ওজন ও ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্র আছে। চিকিৎসা সেবা পেতে রোগীর কাছে কোনো ফি নেওয়া হয় না। প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসার সব ধরনের ওষুধ এখান থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

মাইলজানি কমিউনিটি ক্লিনিকটির ভূমিদাতা আনিসুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মানুষের সেবা দিতে সমাজ সেবক শাহ আলম খান বাবুল এই ক্লিনিকের দেখাশুনা করেন। ক্লিনিকটির বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ নাই, খাবার পানির জন্য নলকূপ নাই ও একটি টয়লেট থাকলেও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

মাইলজানি ক্লিনিক এ পরীক্ষালব্ধ সুপারিশ:
বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য সেবার মান নিশ্চিত করা। ম্যানেজমেন্ট কমিটি মিটিং নিয়মিত ও কার্যকর করা প্রয়োজন।

সুপারিশসমূহ:
উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের জন্য:

১. চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ার্টারে থাকার ব্যবস্থা শতকরা ১০০ % নিশ্চিত করতে হবে।
২. সেবা দানকারীদের রোগীর প্রতি আরো আন্তরিক হওয়া।
৩. সেবা দানকারীদের উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
৪. ৫০ আসন বিশিষ্ট হাসপাতালটি ১শ’ আসনে রূপান্তরিত করা।
৫. রোগী প্রতি খাদ্য বাজেট ১২৫ টাকার থেকে ১৭৫ টাকায় বৃদ্ধি।
৬.চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সংখ্যা বৃদ্ধি।
৭. ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি বৃদ্ধি করা।
৮. মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সিজারের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ সু-ব্যবস্থা থাকা।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের জন্য:

১. প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিশেষজ্ঞ সেবা প্রদানকারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
২. প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা উপকরণ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মচারী রব্যবস্থা করা।
৩. বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
৪. সেবা গ্রহণকারী অনুপাতে সেবা প্রদানকারী সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৫. কেন্দ্রে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে আরও যত্নবান হওয়া।

কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য:

১. কমিউনিটি ক্লিনিক এ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। ২. নবজাতকের জন্য সেবার মান নিশ্চিত করা।
৩. প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ও পরিবার পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকা। ৪. কমিউনিটি ক্লিনিক ম্যানেজমেন্ট কমিটি মিটিং নিয়মিত ও আরো কার্যকর হওয়া।
৫. সেবার মান আরো বহুমুখি ও এ সম্পর্কে জনগণকে আরো বেশি সচেতন করা।
৬. সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে আরো আস্থা তৈরি করা।
৭. অবকাঠামোর উন্নয়নে আরো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।