ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যে ৭ কারণে ঘামা ভালো

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫
যে ৭ কারণে ঘামা ভালো ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: চৈত্রের খরতাপ ইতোমধ্যেই সবাইকে অতিষ্ট করে তুলেছে। সামনে পুরো বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ পড়ে আছে, তারপর আষাড়-শ্রাবণ বাদ দিয়ে আবার ভাদ্রের তালপাকা গরম।

এই গরম থেকে রেহাই পেতে যতো উপায়ই বের করা হোক কোনোভাবে খানিক প্রশান্তি পেলেও ঘাম থেকে বাঁচা প্রায় অসম্ভব। এই ঘাম যেমন অনেক অস্বস্তির কারণ, তেমনি কারণ একরাশ ক্লান্তিরও। তবে, গরমে ঘামা যত অপ্রত্যাশিতই হোক এর বেশ কিছু ভালো দিকও রয়েছে।

সেসব ভালো দিক থেকেই সাতটি বিশেষ কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে এবারে।


ব্যথা উপশম করে
ঘুম থেকে উঠে অনুভব করলেন ঘাড়ে বা হাতে বেশ ব্যথা। কী করবেন, বুঝতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ঘরেই হালকা গা ঘামানোর ব্যায়াম করে ফেলুন। চিকিত্সকদের মতে, ব্যায়াম মস্তিষ্কের বিশেষ অংশকে উত্তেজিত করে। এতে শরীরে এন্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়, যা স্বাভাবিক ভাবে ব্যথা উপশমে কার্যকরী।

শরীর পরিষ্কার রাখে
কারও কারও শরীরের ঘাম দুর্গন্ধ ছড়ালেও সবার ঘামই শরীরের ভেতরকার এবং ত্বকের উপরিভাগের ময়লা বের করে আনে। বিশেষত যারা সারাদিন বাইরে ঘুরে কাজ করেন বা খেলাধুলায় যুক্ত থাকেন, তারা বাড়ি ফিরে দিনে অন্তত তিনবার ভালো করে শরীর ধুয়ে ফেলুন।


ক্ষতিকারক টক্সিন নিঃসরণ করে ফেলে
সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যায়ামের মাধ্যমে প্রচুর ঘামাতে পারলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন নামক জৈব বিষ অ্যালকোহল, কোলেস্টেরল এবং অতিরিক্ত লবণের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। এজন্য ঘরে বসেই সাইক্লিং বা হাল্কা জগিং করে করা যেতে পারে। আর বাইরে হাঁটলে তো কথাই নেই।

মেজাজ শীতল করতে সাহায্য করে
কোনও কারণে যদি মেজাজ চটে থাকে অথবা সারাদিন কাজের পর রুক্ষ থাকে, তবে ঘরে বসেই খানিক যোগ ব্যায়াম বা বাড়ির আশপাশে কোনও পার্কে গিয়ে জোরে জোরে হেঁটে ঘাম বের করার চেষ্টা করুন। ঘামালে বেশ হাল্কা অনুভব করতে থাকবেন। উত্তাপের রকমফেরে স্নায়ুতন্ত্র মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে।

সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে
জার্মানির এবারহার্ড কার্লস ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, ঘামের সঙ্গে ডার্মসিডিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল পেপটাইড নিঃসরণ হয়। এটা সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষত, যক্ষার জীবাণু এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।


শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
যে কোনও কাজ করার সময় শরীরের তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। যে কাজ যত কষ্টসাধ্য তাতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার গতি তত বেশি। ঘাম এই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যদি কোনো কারণে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়; তবে ঝিমুনিভাব দেখা যেতে পারে, বেরোতে পারে ত্বকের ৠাশ, এমনকি জ্ঞানও হারাতে হতে পারে।

কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি প্রত্যেক দিন ব্যায়ামের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘাম বের হয়, তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কারণ ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়; যা কিডনিতে জমা হয়ে পাথর তৈরি করে। আর বেশি ঘামলে পানিও বেশি পান করা হয়। এর ফলে কিডনি পরিষ্কারও থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।