ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যসেবা কর্মকৌশল সম্মেলন ৯ এপ্রিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
স্বাস্থ্যসেবা কর্মকৌশল সম্মেলন ৯ এপ্রিল ছবি : শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাঠ বাস্তবতা ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মকৌশল বাস্তবায়নের জাতীয় উদ্দেশ্য সামনে রেখে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
 
রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘ইউএইচসি গ্লোবাল: বাংলাদেশ রিলেটেডস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শিরোনামে সম্মেলনের আয়োজন করবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)।


 
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিপিআরসি’র নির্বাহী সভাপতি হোসেন জিল্লুর রহমান।
 
সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশ নেবেন। এতে উপস্থাপন করা হবে ৭২টি গবেষণাপত্র।
 
সংবাদ সম্মেলনে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, খরচ, মান ও অন্যান্য বিষয়ে চারটি কারিগরি সেশনে ৩২টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
 
তিনি জানান, ৪০টি গবেষণাপত্র নিয়ে তিনদিনের পোস্টার প্রদর্শনী অধিবেশন থাকবে। তৃতীয় দিনে নিরাপদ জন্ম গৃহে না-কি হাসপাতালে এ নিয়ে থাকবে একটি উন্মুক্ত বিতর্ক অধিবেশন। সম্মেলন শেষে ঘোষণা করা হবে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে একটি  কর্ম পরিকল্পনাও।
 
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ব এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) থেকে এসডিজিতে (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) উত্তরণের পথে। এ উত্তরণে আগের তুলনায় স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অনেকাংশে বাড়ছে।
 
জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আয়ুকাল বাড়লেও উন্নতি হয়নি স্বাস্থ্য খাতে। দেশের সরকারি-বেসরকারি ৭৫টি মেডিকেল থেকে প্রতিবছর অনেক চিকিৎসক বের হচ্ছে। কিন্তু কতজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বের হচ্ছে তা দেখার বিষয়। স্বাস্থ্য খাতের সম্প্রসারণ হলেও ৬৬ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিয়ে সেবা নিতে হয়।
 
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ সফল। কিন্তু ৬০ শতাংশ মানুষ ভ‍ুগছে জটিল রোগে। স্বাস্থ্যব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর ৪০ লাখ লোক দরিদ্র হয়।
 
এসব বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে বলেও জানান জিল্লুর রহমান।
 
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাদাব মাহমুদ, বারডেমের প্রেসিডেন্ট আজাদ খান, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম এম নাসির উদ্দিন, ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। সম্মেলনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে রকফেলার ফাউন্ডেশন, বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্রাক, আইসিডিডিআরবি, ইউএইচ সেন্টার, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ও অ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল এডুকেশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
আরইউ/এলকে/এসএন/এএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।