ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২৪০০ শিক্ষার্থী জানবে স্বচিকিৎসা পদ্ধতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
২৪০০ শিক্ষার্থী জানবে স্বচিকিৎসা পদ্ধতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর ৪০টি স্নাতক পর্যায়ের ২ হাজার ৪শ’ শিক্ষার্থীকে স্বচিকিৎসা পদ্ধতিতে নিজ নিজ রোগ নিরাময়ে প্রশিক্ষণ দেবে ‘সোসাইটি ফর বঙ্গজ স্বচিকিৎসা পরিবার’ নামে একটি সংগঠন।

ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (আইবিএফ) অর্থায়নে একবছর মেয়াদী আকুপ্রেসারভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।



শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চেয়ারম্যান স ই ম সাগর সগীর বলেন, রাজধানীর স্নাতক পর্যায়ের ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটির ৬০জন করে মোট ২ হাজার ৪শ’ জন শিক্ষার্থীকে স্বচিকিৎসা পদ্ধতিতে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ জন করে মোট ৪শ’ শিক্ষার্থীকে স্বচিকিৎসার উপর মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মৌলিক প্রশিক্ষণার্থী থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজন করে মোট ১শ’ ২০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষক ও সংগঠক হিসেবে বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।

সাগর সগীর বলেন, শুধু রাজধানীতেই এমন কার্যক্রম, সারাদেশে নয় কেন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে সারাদেশে একসঙ্গে এ প্রকল্প শুরু করা যাচ্ছে না। একবছর মেয়াদী রাজধানীতে প্রশিক্ষণ প্রকল্পটি চলবে। এখান থেকে যে ১শ’ ২০ জন প্রশিক্ষক ও সংগঠক বের হয়ে আসবে। তাদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এ কার্যক্রম চালু করা হবে।

তিনি বলেন, এই পদ্ধতির সাহায্যে যন্ত্রপাতি ছাড়াই রোগ শনাক্ত করা যায় এবং কোনো ধরনের ওষুধ ছাড়াই রোগ নিরাময় করা যায়। দেহের বিভিন্ন আকু-বিন্দুতে চাপ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়। এসব আকু-বিন্দুকে উদ্দীপ্ত করলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রোগটি থেকে শরীর ধীরে ধীরে মুক্ত হতে থাকে।

ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার তানজিম আহমেদ বলেন, আকুপ্রেসার একটি ‘নিজে কর’ চিকিৎসা পদ্ধতি। মানবদেহের একটি রোগের সঙ্গে আরেকটির আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ব্যাথা কমে ঠিকই কিন্তু পরে আরো নানান জটিল রোগ দেখা দেয়। আমাদের এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য একটি রোগ থেকে যেন ১০টি রোগের সৃষ্টি হতে না পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গজ স্বচিকিৎসা পরিবারের উপদেষ্টা ড. সৈয়দ রোকন উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
এসজেএ/আরইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।