ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকে শর্টসার্কিট

নতুন ভবনে চিকিৎসা সেবা সারাদিন বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
নতুন ভবনে চিকিৎসা সেবা সারাদিন বন্ধ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে রোববার (১৪ জুন) সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ রয়েছে।

পরে জেনারেটর চালিয়ে অন্যান্য কার্যক্রম চালুল রাখা হলেও এতেও ত্রুটি দেখা দেয়।

ফলে বিকেল তিনটা থেকে নতুন ভবনের সাতটি লিফটই বন্ধ হয়ে গেছে।  

এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসার রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এদিকে, লিফটের বিকল্প না থাকায় উপরে ও নিচে থাকা রোগীরাও বিকেল তিনটা থেকে আটকা পড়ে আছেন। এ ভবনে বিকল্প পথ হিসেবে ঢাল সিঁড়ির ব্যবস্থাও রাখা হয়নি।

জানা যায়, রোববার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয়তলার ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

পরে জেনারেটর চালিয়ে কোনো মতে অন্যান্য সেবা কার্যক্রম চলতে থাকে। এতে করে সকাল থেকে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের ফিরে যেতে হয়।

বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিতে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আসেন রওশন আরা (৬০)।

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বাড্ডায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ওই দিনই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন রওশন। তাকে রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলেও অসুস্থতার কারণে ফিরে যান তিনি।

রোববার প্যাথলজিতে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে এলেও বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্যাথলজির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এদিনও ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রওশন।

এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল প্যাথোলজি বিভাগের প্রধান ডা. কাজী ইয়াসমিন সাত্তার বাংলানিউজকে জানিয়ে ছিলেন, হঠাৎ শর্টসার্কিটের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আপাতত প্যাথলজির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেরামতের কাজও চলছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আব্দুল গফুর জানান, সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে মেরামত কাজ শুরু করছেন। আশা করা যাচ্ছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক প্যাথলজি কার্যক্রম শুরু হবে। রোগীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

কিন্তু বিকেল তিনটার পর জেনারেটর দিয়ে চালু রাখা নতুন ভবনের সাতটি লিফটই বন্ধ হয়ে যায়। জেনারেটরগুলোতে ত্রুটি দেখা দিলে সব লিফটই বন্ধ হয়ে যায়।

অথচ লিফটের কোনো বিকল্প পথ বিশেষত ঢাল সিঁড়ির ব্যবস্থা না থাকায় উপরে ও নিচে থাকা রোগী ও প্রশাসনের লোকজনদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতে করে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পুরোপুরিই বন্ধ রয়েছে।

বিকেল তিনটা ২২ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বা জেনারেটর চালু করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে আসা রোগী আহসান উল্লাহর ভাগ্নে আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানায়, মামাকে ট্রলিতে করে একঘণ্টা লিফটের সামনে রাখার পর পায়ে দিয়ে ওঠা সিঁড়ি দিয়ে কোনো রকমে উপরে তোলা হয়েছে। কিন্তু এতে যে কোনো সময় বিপদে পড়তে হতো।

আমরা এভাবে রোগীকে ছয়তলার মেডিসিন বিভাগে নিতে পারলেও অন্যান্য রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আব্দুল গফুর বাংলানিউজকে বলেন, এতক্ষণ জেনারেটর দিয়ে লিফট চালু রাখা হয়েছিল। বর্তমানে এগুলোতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নতুন ভবনের সাতটি লিফটই বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি জানান, ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। আশা করি, ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
এজেডএস/এটি/এবি

** প্যাথলজি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে রোগীরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।