ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৫
বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: বর্ষায় বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ গরম আর হঠাৎ বৃষ্টিতে রোগ-বালাই বাড়ছে।

এর মধ্যে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হারই বেশি।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, গ্রীষ্মের পর বর্ষাতেও রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, কলেরাসহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। শুধু আইসিডিডিআরবিতেই প্রতিদিন অর্ধশত নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাহিমা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বড়দের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। বছরের এ সময়টায় সাধারণত সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। এছাড়াও পানিবাহিত রোগ যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। এমনকি চর্মরোগ ও টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া বর্ষাকালে মশার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগেও আক্রান্ত হয় মানুষ।
তিনি বলেন, কলেরা, টাইফয়েড, সিজেলোসিস (ডিসেনট্রি), হেপাটাইটিস-এ, এমইবিক ডিসেনট্রি ইত্যাদির পানিবাহিত রোগই সংক্রামক। শরীরে যে পানিবাহিত রোগজীবাণু প্রবেশ করে, তা নতুন নতুন জীবাণুর সংক্রমণ যেমন ঘটায়, তেমনি পুরনো জীবাণুও নতুনভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে এবং শিশুর শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

তিনি বলেন, এ সময় দূষিত পানি বাহিত হয়ে স্পোরগুলো আসে মানবদেহে। যে পুকুরে গরু-বাছুর অথবা ঘোড়াকে গোসল করানো হয়, সেই পুকুরেই যদি গোসল করে মানুষ, তখন ছড়ায় রোগ। কোনো একটা জায়গায় আগে থেকে ক্ষতস্থান থাকলে সেখানেও ঢুকে পড়ে স্পোর।
 
তিনি বলেন, বর্ষায় অবশ্যই ফোটানো ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। যেখানে সেখানে মল ফেলা যাবে না, এতে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে। ছোটদের টয়লেটে গিয়ে মলত্যাগে অভ্যস্ত করে তুলতে সচেষ্ট হতে হবে। সামান্য সর্দি-কাশি ও জ্বরকে অবহেলা করা ঠিক হবে না, কারণ এ থেকে নিউমোনিয়া হয়ে জীবন বিপন্ন হতে পারে।

উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সোহরাব হোসেন বলেন, ডায়রিয়া যেহেতু পানিবাহিত রোগ, তাই বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবহার করতে হবে। পচা-বাসি খাবার, রাস্তার পাশে দূষিত পানির তৈরি শরবত পান থেকে বিরত থাকতে হবে। যত দূর সম্ভব গরম ও রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুদের ডায়রিয়া হলে শূন্য থেকে ৫ মাস বয়সী শিশুদের স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর চেয়ে বেশি বয়সী বাচ্চাদের বুকের দুধের পাশাপাশি স্যালাইন ও স্বাভাবিক খাবার নির্দিষ্ট সময় পরপর খাওয়াতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে স্থানীয় হাসপাতালে নিতে হবে। আর পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রচুর স্যালাইন, তরল ও স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৫
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।